লক্ষীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাওয়া আরও সহজ হয়ে গেল। এই প্রকল্পে আবেদন করার ক্ষেত্রে একটা বড়সড় ঝক্কি থেকে মুক্তি দিল রাজ্য সরকার। এ পর্যন্ত রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা নাম তুলিয়েছেন এই প্রকল্পে। তাঁরা সুবিধাও পাচ্ছেন। তবে এমনও অনেক মহিলা আছেন যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছিলেন না। তাঁদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল নাবন্ন। জানিয়ে দেওয়া হল,আধার কার্ড না থাকলেও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন মহিলারা।
গত ১ নভেম্বর থেকেই 'দুয়ারে সরকার'কর্মসূচির শিবির শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তা চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। অথচ অনেক মহিলাই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তাঁদের কাছে আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। সেই অভিযোগ পৌঁছেছে নবান্নে। এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। শনিবার জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই ফেরানো চলবে না উপভোক্তা মহিলাদের।
জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য যে সব মহিলারা আবেদন করতে আসবেন,তাঁদের কোনওভাবে ফেরানো যাবে না। আধার কার্ড বা আধার কার্ডের নম্বর না থাকা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও ফেরানো বা আবেদনপত্র বাতিল করা যাবে না। আধারের নম্বর না থাকা কোনও সরকারি প্রকল্প বাতিলের কারণ হতে পারে না।
নবান্ন সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে কোনও অভিযোগ যেন না আসে তা-ও জেলাশাসকদের নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবির। এবার মোট ২৭টি প্রকল্পের সুবিধা দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে সরাসরি দেওয়া হচ্ছে উপভোক্তাদের। সেই সঙ্গে আরও দু'টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জমির পাট্টা দেওয়ার আবেদন পত্র এবং নতুন বিদ্যুতের সংযোগ ও বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানোর সুবিধা মিলবে দুয়ারে সরকার শিবিরে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আবেদনপত্রের নিষ্পত্তিও করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রায় ৫ কোটি ৬০ লক্ষ উপভোক্তাকে দুয়ারে সরকার শিবিরগুলির মাধ্যমে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবিরগুলির পাশাপাশি পাড়ায় সমাধানও যে চলবে।
আরও পড়ুন- রাজ্য সরকারের ভিতরের খবর কীভাবে পাচ্ছেন? ফাঁস করলেন শুভেন্দু