padma meghna river's hilsa: বর্ষা তো যেমন তেমন গেল, পুজোর মরশুমেও কি পাতে উঠবে না ইলিশ? উৎসবের মরশুমেও কি শুকনো মুখে ও শুকনো পাতে ঘুরে বেড়াতে হবে? হয়তো না। কারণ আশার কথা শুনিয়েছে বাংলদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক। এপার বাংলার পুজোর মরশুমের কথা মাথায় রেখে এবারও বেশ কিছু পরিমাণ পদ্মার ইলিশ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। ফলে হয়তো আর হাত কামড়াতে হবে না তাঁদের।
পুজোয় বাংলার ভোজন রসিকদের পাতে পড়তে পারে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। বাংলাদেশ সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইলিশ উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের তরফে ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে কলকাতা থেকে বেশি কিছু মৎসব্যবসায়ী সংগঠন ইলিশ পাঠানোর আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি লিখেছিল। তারই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। তবে প্রতি বছরই পুজোর সময় কিছু ইলিশ এদেশে তথা এপার বাংলায় আসে। তবে ঠিক কতটা পরিমাণ ইলিশ এই দেশে পাঠানো হবে সেদেশের তরফে তা এখনও জানা যায়নি।
বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির কাজ শুরু হতে পারে। তবে এখনও কতটা পরিমাণ ইলিশ এই দেশে রফতানি করা হবে তা স্থির হয়নি বলেও সূত্রের খবর। যদিও গত বছর পুজোর মরশুমে মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যদিও অনুমোদন থাকলেও এতটা ইলিশ রফতানি করা যায়নি। এবার যেন মঞ্জুরিকৃত সেই পরিমাণ ইলিশ সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতার একটি সংস্থা শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পদ্মার ইলিশ রাজ্যে এলেও দাম কিন্তু নাগালের খুব একটা মধ্যে থাকবে না। ১২শো থেকে ১৪শো টাকা দাম হতে পারে এক কিলো ওজনের ইলিশের। তবে অষ্টমী , নবমী, ভাইফোঁটাতে কলকাতার বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম চড়তে পারে। পদ্মার ইলিশ পেলেই দরাদরি শুরু হবে। চাহিদা অনুযায়ী দাম কমতে বা বাড়তে পারে।