PM Vishwakarma Yojana 2023: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করলেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩-২৪ সালের সাধারণ বাজেটে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করার ঘোষণা করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য ২০২৩-২৪ আর্থিক বছর থেকে ২০২৭-২৮ আর্থিক বছর পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বিধান রয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সমাজের শিল্পী ও কারিগরদের দক্ষতা আরও উন্নত করা।
১৫ হাজার টাকার টুলকিট
অর্থ মন্ত্রকের মতে, এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার টাকার একটি টুলকিট প প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি, সুবিধাভোগীদের প্রতিদিন ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড সহ মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর উদ্দেশ্য হল ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, কুমোর, লোহার বা অনুরূপ কাজে নিয়োজিত লোকদের উন্নতি করা, তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাদের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা।
এই স্কিমের উদ্দেশ্য হল গুরু-শিষ্য পরম্পরা বা বিশ্বকর্মাদের নিজেদের হাতে ও হাতিয়ার দিয়ে কাজ করে প্রথাগত দক্ষতার পরিবার-ভিত্তিক অনুশীলনকে শক্তিশালী ও লালন করা। পিএম বিশ্বকর্মার মূল ফোকাস হ'ল শিল্পী ও কারিগরদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলির অ্যাক্সেসযোগ্যতার পাশাপাশি গুণমান উন্নত করা এবং নিশ্চিত করা যে তারা দেশিয় এবং গ্লোবল ভ্যালু চেনের সঙ্গে একীভূত করা।
কারা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা?
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার সুবিধা
বিশ্বকর্মা শ্রম সম্মান যোজনার উদ্দেশ্য হল দক্ষ কারিগরদের মূল্যবান সহায়তা প্রদান করা। স্কিমটি তহসিল বা জেলা সদরে অবস্থিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বিভাগ দ্বারা পরিচালিত একটি ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে গঠিত। বিশ্বকর্মা শ্রম সম্মান যোজনার সফল আবেদনকারী একটি প্রশিক্ষণ সেশন পাবেন, যা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণরত কারিগরদের আধা-দক্ষ মজুরির সমতুল্য আর্থিক সহায়তার বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রয়োজনীয় নথি এবং শর্তাবলী
কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হবে?
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মাকে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সহ কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে। এই প্রকল্পের অধীনে, বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টাল ব্যবহার করে কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিশ্বকর্মাদের বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। তাদের পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং আইডি কার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
কী সুবিধা পাওয়া যাবে এই স্কিমে
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার অধীনে সমস্ত শিল্পী ও কারিগরদের নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি দেওয়া হবে:
প্রথম পর্যায়ে ১ ,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ - ৫ শতাংশ হারে সুদ।
দ্বিতীয় পর্বে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। ৫ শতাংশ হারে সুদ দেবে সরকার।
স্কিল ট্রেনিংও দেওয়া হবে।
বৃত্তি হিসাবে প্রশিক্ষণের সময় প্রতিদিন ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।
অগ্রিম টুল কিট কেনার জন্য ১৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে শিল্পীদের।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপের ঋণের মেয়াদ ১৮ মাস।
দ্বিতীয় পর্বের ঋণের মেয়াদ ৩০ মাস।
টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে প্রতি ডিজিটাল লেনদেনে ১ টাকা করে ইনসেনটিভ দেবে সরকার।