ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা পোস্ট অফিস থেকে বেশ ভাল অপশন বা বিকল্প পান। এই বিকল্পগুলির মধ্যে একটি হল কিষাণ বিকাশ পত্র। এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা দেয়। চক্রবৃদ্ধির সুবিধার কারণে এই স্কিমটি চমৎকার রিটার্ন দেয়। এবং এতে 124 মাসে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ডাকঘরের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে
ইন্ডিয়া পোস্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশের 1.5 লক্ষেরও বেশি পোস্ট অফিসে কিষান বিকাশ পাত্র (KVP)-এর সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। আপনি এই পোস্ট অফিসগুলির যে কোনও একটিতে গিয়ে কিষাণ বিকাশ পত্র কিনতে পারেন।
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা! বেসরকারি ছেড়ে দেশে বাড়ল সরকারি স্কুলে ভর্তির হার
আরও পড়ুন: ঠান্ডা কড়া নেড়েছে, দার্জিলিং জমজমাট! মজেছেন পর্যটকেরা
আরও পড়ুন: COVID-ধাক্কা, প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজনের ব্যক্তিগত জীবনে খারাপ প্রভাব
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করার সুবিধাও রয়েছে। অর্থাৎ, যদি কোনও কারণে আপনার শহর পরিবর্তিত হয়, তাহলে আপনি তা নতুন শহরের নিকটতম পোস্ট অফিসে স্থানান্তর করতে পারেন।
এফডি-র থেকে বেশি রিটার্ন
এই স্কিমটি যে কোনও এফডি-র থেকে বেশি রিটার্ন দেয়। এর ম্যাচিওরের সময়কাল হল 124 মাস। তবে প্রয়োজনে আপনি আপনার বিনিয়োগকে আরও আগে ক্যাশ করতে পারেন। এই স্কিমে শুধুমাত্র একটি শর্ত আছে যে এটি 30 মাসের লক-ইন পিরিয়ডের সঙ্গে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আপনি বিনিয়োগের আড়াই বছর পরে যে কোনও সময় কিষাণ বিকাশপত্র নগদ বা ভাঙাতে পারেন।
আয়করে ছাড়
কিষাণ বিকাশ পত্রে অর্থ বিনিয়োগের আরও একটি সুবিধা রয়েছে। এই স্কিমটি কর ছাড়ও জেয়। আয়করের ধারা 80C-এর অধীনে কিষাণ বিকাশ পত্রে করা বিনিয়োগের ওপর কর থেকে ছাড় দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। আপনার বয়স যদি 18 বছর বা তার বেশি হয় তবে আপনি কিষাণ বিকাশ পত্রের সুবিধা নিতে পারেন। সিঙ্গল ছাড়াও এতে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার বিকল্পও রয়েছে।
এটি এককালীন বিনিয়োগ প্রকল্প। অর্থাৎ, আপনাকে প্রতি মাসে বা প্রতি বছর এটিতে অর্থ রাখার দরকার নেই। আপনি এতে কমপক্ষে 1000 টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ কোনও সীমা নেই। এর অর্থ হল আপনি একবারে কিষাণ বিকাশ পত্রে যে কোনও পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন।