পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) হল সরকারে ছোট একটি সেভিংস স্কিম। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে রিটার্নও ভাল পাওয়া যায়। PPF-এ বিনিয়োগ করলে আয়করে ছাড়ের জন্যও আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে একটি অর্থবর্ষে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায় ছাড়। অনেকেই কর্মরত অবস্থাতেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু করে দেন। তবে অ্যাকাউন্ট চালু থাকা অবস্থায় যদি গ্রাহকের মৃত্যু হয়, তাহলে সেই অর্থ কে পাবেন?
কতটা পাওয়া যায় রিটার্ন?
বর্তমানে PPF অ্যাকাউন্টে ৭.১০ শতাশ সুদ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতি ৩ মাসে এই সুদের পরিমান বদলে দিতে পারে সরকার। ১৫ বছরে এই টাকা ম্যাচিওর। এই স্কিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এতে চক্রবৃদ্ধি সুদের হিসেবে রিটার্ন পাওয়া যায়। এই স্কিমে বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়।
টাকা কে পাবেন?
ধরা যাক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে আট বছর চালানোর পর যদি গ্রাহকের কোনও কারণে মৃত্যু হয়, তাহলে জমা হওয়া অর্থ দেওয়া হবে নমিনিকে। সেক্ষেত্রে ম্যাচুরিটির নিয়ম লাগু হবে না। নমিনিকে টাকা দেওয়ার পর সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কীভাবে হবে ক্লেম সেটেলমেন্ট?
নিয়ম অনুযায়ী, ডেথ ক্লেম সেটলমেন্ট বিভিন্ন ভিত্তিতে করা যেতে পারে। যদি দাবির পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার ভিত্তিতে মনোনয়ন, আইনি প্রমাণ বা আইনি প্রমাণ ছাড়াই নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকার বেশি অর্থের জন্য আইনি প্রমাণের আবেদন করতে হবে। যদি নমিনীর কাছে প্রমাণ পাওয়া না যায়, তবে সেক্ষেত্রে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট নিতে হবে।
যে কোনও সময় টাকা তোলা যাবে?
এই অ্যকাউন্ট ১৫ বছরে ম্যাচিওর হয়। তবে জরুরি ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ টাকা তোলা যাবে। সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট কমপক্ষে ৬ বছর চলতে হবে। ৩ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগের পর সেখান থেকে লোনও করা যেতে পারে। অ্যাকাউন্ট খোলার ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত পাওয়া যায় লোনের সুবিধা।
আরও পড়ুন - সকালে খালি পেটে এই ৪ খাবার কখনও খাবেন না, গ্যাস-অম্বলে বরবাদ হবে গোটা দিন