সপ্তাহ শেষে শেয়ারবাজারে রক্তক্ষয়। সকাল থেকেই দ্রুত হারে একাধিক শেয়ার দর দ্রুত হারে কমেছে। দিনের শুরুতে প্রাইমারি ট্রেডিংয়ের সময় তাও পরিস্থিতি কিছুটা ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে শেয়ারের পতনের হার বাড়তে থাকে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। বিশেষত, ব্যাঙ্ক নিফটি, স্মল ক্যাপ এবং মিড ক্যাপ সূচকে সর্বাধিক পতন হয়েছে।
নিফটি ব্যাঙ্ক ১১০০ পয়েন্টের বেশি নেমে গিয়েছে। সেনসেক্স ৯০০ পয়েন্ট নেমে এসেছে। নিফটি প্রায় ৩০০ পয়েন্ট পড়ে ২৪১০০-এর নিচে ট্রেড করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কোয়ার্টারলি রেজাল্ট এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টাকা তুলে নেওয়ার কারণে ভারতীয় শেয়ারবাজার চাপের মধ্যে রয়েছে। সেনসেক্স ও নিফটি প্রতিদিনই নিম্নমুখী। আজ মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ পোর্টফোলিও সুনামির মতো ধসে পড়েছে।
BSE তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মোট মার্কেট ক্যাপ ৯.৮ লক্ষ কোটি টাকা কমে ৪৩৫.১ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র একদিনে বিনিয়োগকারীদের মোট মূলধন প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা কমেছে। এদিন সকালে বিভিন্ন স্টক প্রায় ১৯% পর্যন্চ কমেছে। সেনসেক্স ৮০,১৮৭.৩৪ পয়েন্টে সামান্য বৃদ্ধি নিয়ে খুলেছিল। তবে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সেনসেক্স ৬৬৩ পয়েন্ট কমে ৭৯,৪০২.২৯-এ বন্ধ হয়।
নিফটি ২১৮.৬০ পয়েন্ট পড়ে ২৪,১৮০.৮০ এ বন্ধ হয়েছে। BSE-এর শীর্ষ ৩০টি শেয়ারের মধ্যে ২০টি শেয়ারের দাম কমেছে, ১০টি শেয়ারের দাম বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য, Indusind ব্যাঙ্কের শেয়ার ১৮.৭৯ শতাংশ কমে ১০৩৮ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্য শেয়ারগুলির মধ্যে পুনাওয়ালা ফিনকর্পের শেয়ার ১৭.১৯ শতাংশ কমে ২৯৭ টাকায়, ডিক্সন টেকনোলজির শেয়ার ৭.৪৩ শতাংশ কমে ১৩,৯৩৭ টাকায়, এবং এইচপিসিএলের শেয়ার ৮ শতাংশ কমেছে।
আজ ১০১টি শেয়ার তাদের ৫২-সপ্তাহের সর্বোচ্চ এবং ২০২টি শেয়ার তাদের ৫২-সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্পর্শ করেছে। ৩,৮৫৭টি শেয়ারের মধ্যে ৬০৬টি শেয়ার সবুজ এবং ৩,১৪৬টি শেয়ার লাল রঙে লেনদেন হয়েছে। বিএসই মিডক্যাপ সূচক ৮৭২.৫৭ পয়েন্ট কমে গেছে এবং বিএসই স্মল ক্যাপ সূচক ১,৩৪৩ পয়েন্ট কমে ৫২,৩০০-এ দাঁড়িয়েছে।
বিএসই কনজিউমার ডিউরেবলস সূচকটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যা ২,৩০০ পয়েন্ট কমে ৬০,৬০৪-এ নেমেছে।
(দ্রষ্টব্য: যেকোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নিন।)