শিলিগুড়িতে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে পুজো পর্যটকদের জন্য আলাদা গাইড ম্যাপ তৈরি করা হয়। যে কোনও পুলিশ বুথ কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন ওই ম্যাপ। বাইরের দর্শনার্থীরা কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় পৌঁছবেন, কোথায় পৌঁছলে কোথায় সুবিধা হবে, কোথায় পুলিশ বুথ রয়েছে, কোথায় জলসত্র, কোথায় পার্কিং, কোথা দিয়ে ঢুকে কোথা দিয়ে বের হলে সহজে প্রতিমা দর্শন করে যানজট এড়াতে পারবেন, সমস্ত কিছু লেখা থাকে ওই ম্যাপে। ছবির মত সেই ম্যাপ হাতে নিয়ে অনেকেরই মুখে হাসি ফোটে।
এবার আর গাইড ম্যাপ চালু হবে না
বিশেষ করে যারা শিলিগুড়িতে কম আসেন, শুধুমাত্র পুজো উপলক্ষে ঘুরতে হাজির হন শিলিগুড়িতে, পাশাপাশি পুজোর ক'দিন কোন কোন রাস্তা one-way কিংবা কোন রাস্তা কখন বন্ধ থাকবে, সেটিও নির্দেশ করা থাকে গাইড ম্যাপে। গত কয়েক বছর ধরে তাই এই গাইড ম্যাপ পর্যটকদের কাছে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছিল পুজোর কটা দিন। কিন্তু এবার আর তারা সেই ম্যাপ পাবেন না।
ম্যাপ এখন অ্যাপ
কিন্তু তা বলে মন খারাপের কোনও কারণ নেই। কারণ সে গাইড ম্যাপ এখন হয়ে যাচ্ছে গাইড অ্যাপ। অ্যাপ-এ ক্লিক করেই জেনে নিতে পারবেন শিলিগুড়ি শহরের পুজো মণ্ডপের হাল-হকিকত, বর্তমান অবস্থা, সমস্যায় পড়লে সেখান থেকে পাওয়া যাবে পুলিশি সহায়তা, পেয়ে গেলে কোথায় পুলিশ থানা, কোথায় ফাঁড়ি, কোথায় অস্থায়ী বুথ, কোথায় ট্রাফিক সেন্টার, সমস্ত জানতে পারবেন।
বিপদে পড়লে বাটনে ক্লিক
মহালয়াতেই প্রতি বছর ম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতো। অ্যাপও ওইদিনই চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, এতদিন প্রচলিত ছিল আধুনিকতার সঙ্গে পকেট ফ্রেন্ডলি করার সুবিধের জন্য। এখন সবার কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। ফলে বাড়তি কাগজ না রেখেই মানুষ জেনে নিতে পারবেন কোন পুজো কোথায় কীভাবে যেতে হবে। পাশাপাশি দমকল থেকে পুলিশ, ইলেকট্রিসিটি থেকে পলিউশন কন্ট্রোল, সমস্ত চলে আসবে অ্যাপে। কেউ বিপদে পড়লে নির্দিষ্ট বাটনে ক্লিক করলে সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমের থেকে সহায়তা পাবেন।
পুজোর অনুমতি শুরু
মঙ্গলবারই শিলিগুড়িতে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে পুলিশ এই খবর জানিয়েছে। বৈঠকে সমস্ত ক্লাব প্রতিনিধি দল, বিদ্যুৎ দপ্তর, পরিবেশ দপ্তর, পুরনিগম, মহকুমা প্রশাসন ছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনে পুজো পারমিশনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে।
অফলাইনেও আবেদন করা যাবে
পাশাপাশি যারা অনলাইনে অভ্যস্ত নন, তারা অফলাইনেও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এর অফিসে গিয়ে আবেদন করে অনুমতি প্রক্রিয়া নিতে পারবেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সদর, অমিতাভ মাইতির নেতৃত্বে ১৯ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চলতি মরশুমে ৬৬৮ পুজোকে শিলিগুড়ি শহরের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ দপ্তর এর সমস্ত রকম কাজ শেষ করে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তারপরে কোনও রকম বিদ্যুতের মেরামতির কাজ করা চলবে না।