Tatkal Marriage Registration in West Bengal: 'তত্‍কাল বিয়ে' বাংলাতেও আসছে, কী কী কাগজ লাগবে, যা জানা জরুরি 

অহেতুক সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে সেরে ফেলতে এবার বাংলায় চালু হচ্ছে ‘তৎকাল বিয়ে’। দিল্লিতে এই নিয়ম বহু আগেই চালু হয়েছে। এবার তা এই রাজ্যেও শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের আইনবিভাগ গোটা বিষয়টির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তারপর পাঠানো হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তারপরই চালু হবে তৎকাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রি। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন, কী কী কাগজপত্র লাগবে তৎকাল রেজিস্ট্রিতে।

Advertisement
 'তত্‍কাল বিয়ে' বাংলাতেও আসছে, কী কী কাগজ লাগবে, যা জানা জরুরি প্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • অহেতুক সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে সেরে ফেলতে এবার বাংলায় চালু হচ্ছে ‘তৎকাল বিয়ে’।
  • দিল্লিতে এই নিয়ম বহু আগেই চালু হয়েছে।

অহেতুক সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে সেরে ফেলতে এবার বাংলায় চালু হচ্ছে ‘তৎকাল বিয়ে’। দিল্লিতে এই নিয়ম বহু আগেই চালু হয়েছে। এবার তা এই রাজ্যেও শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের আইনবিভাগ গোটা বিষয়টির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তারপর পাঠানো হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তারপরই চালু হবে তৎকাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রি। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন, কী কী কাগজপত্র লাগবে তৎকাল রেজিস্ট্রিতে।

পাত্র-পাত্রী দুজনেরই আধার কার্ডের আসল কপি ও ২টি ফটোকপি
প্যান কার্ড
ভোটার কার্ড
মাধ্যমিকের অ্যাডমিট বা বার্থ সার্টিফিকেট
সাক্ষী হিসেবে যিনি থাকবেন তাঁর আধার কার্ড
পার্সপোর্ট সাইজ ছবি ২ কপি

কী এই তৎকাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রি?
আসলে হিন্দু ম্যারেজ রুলে রদবদল ঘটিয়ে সামাজিক বিয়ের একদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রি সেরে ফেলার ব্যবস্থা শুরু হবে এখানে। বর্তমানে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, সামাজিক বিয়ের পর আবেদন করলে রেজিস্ট্রির জন্য দিন সাতেক সময় লাগে। এরপর অষ্টম দিনে রেজিস্ট্রি করতে পারেন নতুন দম্পতি। এবার তা কমে মাত্র একদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।
অনেকেই সামাজিক বিয়ের দিন অথবা তারও আগে রেজিস্ট্রি করে ফেলেন। তাঁদের জন্য স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের ১৩ নম্বর ধারায় ন্যূনতম ৩০দিন আগে এই রেজিস্ট্রির আবেদন করতে হয়। কিন্তু তৎকাল বিয়ে চালু হলে সেটাও একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে পারবেন দম্পতি। এর ফলে তাঁদের অহেতুক সময় নষ্ট হবে না। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শীঘ্রই তা রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে ছাড়পত্র এলেই শুরু হয়ে যাবে প্রক্রিয়া। 
এখন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে রেজিস্ট্রি করলে সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে ১২৫ টাকা। আর রেজিস্ট্রার বাড়িতে এলে জমা পড়ে ২২৫ টাকা। সরকারি নথি থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট এবং স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিয়ে মিলিয়ে প্রায় এক কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা রাজ্য কোষাগারে এসেছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement