ভারত সরকার প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে ১২ সংখ্যার একটি অনন্য সংখ্যা জারি করবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য এই আপার আইডিতে পাওয়া যাবে। এতে মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ইত্যাদি সহ অন্যান্য তথ্যও থাকবে। সারা দেশের বেশিরভাগ রাজ্যের স্কুলে আপার আইডি কার্ড তৈরির কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের 'ওয়ান নেশন ওয়ান স্টুডেন্ট আইডি' স্কিমের অধীনে তৈরি করা এই আইডি কার্ডগুলি প্রত্যেক ছাত্রের জন্য খুবই উপযোগী। এতে করে তাদের ছাত্রজীবন খুবই সহজ হয়ে যেতে চলেছে।
আপার আইডি কার্ডের পূর্ণরূপ হল অটোমেটিক পার্মামেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি (Automated Permanent Academic Account Registry)। এটি আধার কার্ডের মতোই হবে। এই কার্ডে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি উল্লেখ থাকবে। এই কার্ডটি প্রাথমিক স্কুল থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হবে। তবে এই কার্ড তৈরি করতে হলে অভিভাবকদের সম্মতি নিতে হবে।
এই বিবরণগুলি APAAR আইডি কার্ডে উল্লেখ করা হবে
আপার আইডি কার্ডে নাম, ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম, ছবি-সহ ছোট-বড় প্রতিটি বিবরণ থাকবে। এর সঙ্গে মার্কশিট, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথিও থাকবে। কোনও পড়ুয়া যদি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম, অলিম্পিয়াড বা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনও খেলায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে এই তথ্যও এই পরিচয়পত্রে লিপিবদ্ধ থাকবে।
APAAR আইডি রেজিস্ট্রেশন
Apaar ID এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট apaar.education.gov.in। এই সাইটে পড়ুয়াদের Apaar আইডির জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়াটি স্কুলগুলোকেই সম্পন্ন করতে হবে। এই আই-কার্ডের সুবিধাগুলি আপনার জানা উচিত।
AparID কার্ড তৈরি করে পড়ুয়ারা অনেক উপকৃত হবে। যদি তারা একটি স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে যায় তবে তাদের এর জন্য সমস্ত কাগজপত্র বহন করতে হবে না। তারা তাদের ইউনিক আইডি কার্ডের নম্বর দেখে সমস্ত বিবরণ পেতে পারে। এই আইডি কার্ডটি সারা দেশে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও এটি কখনই পরিবর্তন হবে না। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, কোনও পড়ুয়ার মার্কশিট বা অন্যান্য নথি হারিয়ে গেলেও চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। AparID থাকলেই সব পাওয়া যাবে।
২০২৩ সালে অল ইন্ডিয়া এডুকেশন কনফারেন্সে (ABSS) কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে একটি আলোচনা করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে দেশে ৩০ কোটি পড়ুয়া রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৪.১ কোটি উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এবং বাকি ৪ কোটি স্কিল সংক্রান্ত পড়াশোনায় যুক্ত। এই সমস্ত ছাত্রদের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।