স্থানীয় রেডিও এবং টিভি চ্যানেলে কর্মরত তিন মহিলাকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হল আফগানিস্তানে। তিন মহিলাকে সনাক্ত করেছে পুলিশ। মুরসাল ওয়াহিদী, সাদিয়া সাদাত ও শেহনাজদের বয়স ১৮ থেকে ২০ এর মধ্যেই ছিল। এই ঘটনায় দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথেই জঙ্গিদের রোষানলে পড়েন তাঁরা। আফগানিস্তানের প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ওই ব্যক্তি তালিবান সদস্য। যদিও তালিবান মুখপাত্র জবিদুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন যে এই ব্যক্তির সঙ্গে তালিবানদের কোন সম্পর্ক নেই।
কিন্তু কেন জঙ্গিদের রোষে পড়তে হল ওই তিন মহিলাকে? এই হামলার দায় স্বীকারকারী আইএসআইএস বলেছে যে এই তিন মহিলা তাঁদের লক্ষ্যবস্তু ছিল কারণ তাঁরা 'অকৃতজ্ঞ' আফগানিস্তান সরকারের প্রতি অনুগত মিডিয়া হাউসে কাজ করতেন। এর আগেও ২০২০ সালে এক মহিলা সাংবাদিককে হত্যা করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
সংবাদসংস্থা এএফপিকে মৃত সাদিয়া সাদাতের ভাই বলেন যে তাঁর দিদি পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিল। টিভি স্টেশনে গত এক বছর ধরে কাজ করে তাঁর পরিবারের মুখে অন্ন জুগিয়ে চলেছিল সাদিয়া। এক বছর আগে এই চাকরি নিয়েই খুশির হাওয়া ছিল সাদাত পরিবারে। কিন্তু এমন কিছু হতে পারে তার আগাম কোনও সতর্কতাও পাননি সাদিয়া ।
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনিও এই হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন যে নিরীহ মহিলাদের উপর এ ধরনের হামলা কেবল ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও শান্তিরও বিরুদ্ধে।