
বীরভূমের লাভপুরের 'হলু'। তার দু'টি পা কিছুদিন আগে কাটা পড়ে রেললাইনে। তবে হলু এখন সে দিব্যি ছুটে বেড়াচ্ছে তার কৃত্রিম পা নিয়ে। যার পুরো কৃতিত্বটাই যায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।

মানুষের ক্ষেত্রে আমরা হুইলচেয়ারের ব্যবহারের কথা জানি। সেই জিনিসই হলুর জন্য কাজে লাগানো হল। আর ফলও দিয়েছে জবরদস্ত। এদিক সেদিক ঘুরঘুর করছে হলু।

পা হারানোর ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি সে। মনমরা হয়ে গিয়েছিল বেশ। সে কথা ধরতে পেরেছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

তবে তারাও হাল ছাড়ার কথা ভাবেননি। বরং ভেবেছেন কী করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

বলা যেতে পারে, সে সাফল্য তাঁরা পেয়ে গেলেন। আর খুশি ছড়িয়েছে হলুর জীবনে। হাঁটাচলার জন্য আর ভাবতে হচ্ছে না।

অনেকটা আগের মতোই সে ঘুরে ঘুরে বেরাচ্ছে।

বেশ কিছুদিন আগে বীরভূমের সিউড়ির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে খবর আসে লাভপুরের রেললাইনে কাটা পরে একটি সারমেয়র পেছনের দু'টি পা। যার নাম হলু।

খবর পেতেই সারমেয়টিকে নিয়ে আসা হয় সিউরিতে। তারপর এই সংস্থার কাছেই সিউড়ি প্রাণী হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা চলে হলুর।

তাকে বাঁচাতে একটি সার্জারি করে বাদ দিতে হয় সারমেয়টির পেছনের দু'টি পা।

তবে শারীরিক ভাবে সুস্থ হলেও অন্যান্য সারমেয়দের মতো হেঁটে বেড়াতে না পেরে মন মরা হয়ে থাকত সে। ওই সংস্থার সদস্যদের ধারণা, হলু মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে।

তাই হলুর জন্য কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে তারা।

সাধারণত মানুষের জন্য ব্যবহৃত হুইলচেয়ার এর ধারণা থেকেই তারা তৈরি করে ফেলে সারমেয়র হুইলচেয়ার বা কৃত্রিম পা।

আর সেটি তৈরি হতে না হতেই লাগিয়ে দেওয়া হয় হলুর বাদ দেওয়া পায়ের জায়গায়।

এখন লাভপুরবাসীর প্রিয় হলু কৃত্রিম পা নিয়ে দিব্বি ছুটে বেড়াচ্ছে তার বন্ধুদের সঙ্গে। 'নির্বাকন্নর' নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সে।