জলাধারের জল শুকতেই ৩০ বছর পর ফের দেখা মিলল ভূতুড়ে গ্রামের! এর আগে ১৯৯২ সালে শেষবারের মতো এই গ্রামটিকে দেখা গেছিল, যেটি তারপর বাঁধের জলের তলায় তলিয়ে যায় গোটা গ্রাম। ওই এলাকায় বর্তমানে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে জল শুকিয়ে ফের জেগে উঠেছে তিন দশক আগে জলের তলায় তলিয়ে যাওয়া সেই গ্রামটি।
স্পেনে, পর্তুগালের সীমান্তে এমন একটি গ্রামও রয়েছে যা ৩০ বছর পর দেখা হয়েছে। এটি ঘোস্ট ভিলেজ নামেও পরিচিত। ১৯৯২ সালের পর শেষবারের মতো এই গ্রামটি দেখা গেছিল, যেটি সম্পূর্ণরূপে বাঁধে তলিয়ে গিয়েছিল। স্পেনের গ্যালিসিয়া অঞ্চলে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাঁধ তৈরির পর থেকে এই গ্রামটি লিমিয়া নদীর জলতে তলিয়ে গেছে।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন এখানে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। গ্রামের অটো লিন্ডোসো বাঁধে এখন মাত্র ১৫ শতাংশ জল অবশিষ্ট রয়েছে। স্পেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্কতা জারি করেছে। ৬৫ বছর বয়সী পেরেজ রোমিও বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে। এর প্রভাবে এখানে খরা দেখা দিয়েছে। এই গ্রামের দিকে তাকালে মনে হয় যেন কোনো সিনেমা চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখানকার ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা এখানে পৌঁছে ছবি ও ভিডিও তুলছে। যে গ্রামটি সামনে এসেছে তা দেখে অনেক কিছুই সামনে এসেছে। যেমন এখানে একটা ক্যাফে ছিল, জলের ফোয়ারা ছিল। সে যুগে গ্রাম হলেও এখানে গাড়ি ছিল, যা এখন মরচে ধরেছে।
এখানকার মেয়র খরার কারণ হিসেবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়াকে দায়ি করেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে এখানে বৃষ্টি কম হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্তুগাল সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জল সেচের জন্য ৬টি বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিল। গ্রামবাসীর ক্রমাগত অভিযোগের পর কর্মকর্তাদের নজরে আসে।
একই সঙ্গে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখানকার বাঁধগুলোতে ধারণক্ষমতার ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত জল রয়েছে। গত এক দশকে এই ধরনের ৬১ শতাংশ জলাধার দেখা গেছে যেখানে জল গড় ধারণক্ষমতার কম। কিন্তু ২০১৮ সালের খরা পরিস্থিতির চেয়ে সবার স্তর ভালো।