NOTIFICATIONS
22nd Nov
প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহ থেকে একটি এলিয়েন সংকেত (Alien signal) পাওয়া গেছে। —প্রতীকী ছবি। 
Alien Signal From Mars: পৃথিবীর বাইরে আরেকটি প্রাণের সন্ধান এখনও অব্যাহত। তবে এই অনুসন্ধানের ‘পালে হাওয়া’ লাগল এবার। কারণ, প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহ থেকে একটি এলিয়েন সংকেত (Alien signal) পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ExoMars ট্রেস গ্যাস অরবিটারে (TGO) বুধবার রাত ৯টায় মঙ্গল গ্রহের চারপাশে তার কক্ষপথ থেকে পৃথিবীতে একটি এনকোডেড বার্তা ধরা পড়েছে। এটি হল আমাদের কাছে অন্য কোনও সভ্যতা বা জগত থেকে আসা একটি বাস্তব সংকেত। মঙ্গল গ্রহের অরবিটারে ফ্ল্যাশ হওয়া সিগন্যালটি ১৬ মিনিট পরে পৃথিবীতে পৌঁছায়।
'এ সাইন ইন স্পেস' প্রকল্পের শিল্পী ড্যানিয়েলা ডি পাওলিস বলেছেন, “মানবতার ইতিহাসে এমন শক্তিশালী এবং রূপান্তরকারী ঘটনার অর্থ অনুসন্ধান করেছে। বহির্জাগতিক সভ্যতা থেকে একটি বার্তা পাওয়া সমস্ত মানবজাতির জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: লাদাখের ‘রহস্যময়’ কঙ্গকা লা পাস, এখানে নাকি এলিয়ানদের নিত্ত আনাগোনা!
ড্যানিয়েলা ডি পাওলিস, যিনি সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (SETI) ইনস্টিটিউটের একজন শিল্পী, তিনি এই বহির্জাগতিক বার্তা ডিকোডিং এবং ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াটি নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং শিল্পীদের একটি দলকে একত্রিত করেছেন৷
প্রকল্পের অংশ হিসাবে ইউরোপীয় অনুসন্ধানে সংকেতটি ধরা পড়েছিল এবং গ্রিন ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপ (ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া), মেডিসিনা রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্টেশন (ইতালি), অ্যালেন টেলিস্কোপ অ্যারে (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং ভেরি লার্জ অ্যারে দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। উল্লেখ্য যে এলিয়ান সংকেতটি ডি পাওলিস এবং তার দল ডিজাইন এবং এনকোড করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই এলিয়ান সংকেত থেকে ঠিক কী জানা গিয়েছে, তা এখনও অপ্রকাশিত।
ATA প্রকল্পের বিজ্ঞানী ডঃ ওয়ায়েল ফারাহ বলেন, "এই পরীক্ষাটি বিশ্বের জন্য এটি শেখার একটি সুযোগ যে কীভাবে সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (SETI) তার সমস্ত বৈচিত্র্যের মধ্যে, একটি সম্ভাব্য বহির্জাগতিক সংকেত (Alien signal) গ্রহণ, প্রক্রিয়া, বিশ্লেষণ এবং বোঝার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে!" মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা এলিয়েন সংকেতের বিশদ বিবরণ এখানে ডিকোডিংয়ের জন্য গবেষণা চলছে।
এই গবেষণা পর্কল্প সম্পর্কে ডঃ ফারাহ বলেন, “জ্যোতির্বিদ্যার চেয়েও বেশি, ET-এর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জ্ঞানের প্রশস্ততার প্রয়োজন। ‘এ সাইন ইন স্পেস’ এর মাধ্যমে, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে বিশেষজ্ঞ, মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং শিল্পীদের সম্প্রদায়কে একত্রিত করার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করি।”