scorecardresearch
 

আফগান মহিলাদের বাঁচাবে Baccha Posh! তালিবানি শাসনে আশার আলো

আফগানিস্তানে একটি পুরনো প্রথা আছে, মেয়েদের ছেলে বানিয়ে ছেলেদের মতো জীবন যাপন। প্রথা থাকলেও অনেকে পালন করতেন না। তালিবানি শাসনে এখন সেই প্রথাই ভরসা। অনেকেই প্রথা মেনে মেয়েদের নতুন জীবন দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Advertisement
এমনই এক বাচ্চা পোশ, বাবা মায়ের সঙ্গে এমনই এক বাচ্চা পোশ, বাবা মায়ের সঙ্গে
হাইলাইটস
  • বাচ্চা পোশ-এ ফিরছে আফগানিস্থান
  • তালিবানি শাসনে মেয়েদের একমাত্র আশার আলো
  • ছেলে সেজে মিলবে স্বাধীনতা

আফগানিস্তানে এখন তালিবানি শাসন রয়েছে। তালিবানি শাসন আসার পর থেকে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে মহিলাদের। কারণ মহিলা এবং মেয়েদের বিভিন্ন রকম বিধিনিষেধের গেরোতে ফেলে দিয়েছে তালিবান শাসকরা। তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিপদে। কিন্তু আফগানিস্তানে এক এমন প্রথা রয়েছে যাতে মেয়েরা ছেলে সেজে ছেলেদের মতন স্বাধীনতা ভোগ করেন। এই প্রথার নাম হল বাচ্চা পোশ Baccha Posh।

কী এই বাচ্চা পোশ?

ইসলামিক পুরুষপ্রধান দেশ আফগানিস্তানে এই প্রথা অনুসারে মেয়েরা এবং মহিলারা পুরুষ সেজে কিছু সময় পর্যন্ত তারা তা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন। এই প্রথা অনুসারে পরিবারের মধ্যে নিজেদের কোনও মেয়েকে তারা নির্বাচন করতে পারেন। যার জীবন পালন ছেলেদের মতোই করা হবে। জামা কাপড় থেকে আদব-কায়দা, সবই তারা ছেলেদের মতোই অনুসরণ করবেন। এর মধ্যে অবশ্য যদিও বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্থান পাশতুনরা এই প্রথা অনুসারে মেয়েদের ছেলে বানিয়ে থাকেন।

এমন একটি মেয়ে হলো সনম

 সনম ৮ বছরের মেয়ে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে থাকে। এখন তিনি বাচ্চা পোশ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তার লম্বা চুল ছিল। কিন্তু এখন তার নাম বদলে ওমিদ রাখা হয়েছে। এখন সে ছেলেদের মত ব্যাবহার করছে। তাদের মতো পোশাক-আশাক পরছেন। তাদের মতো আদব-কায়দা অনুসরণ করছেন। ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলছে। কুস্তিও করতে পারে। এছাড়াও পরিবারদের অন্যান্যদের সঙ্গে কাজে হাত লাগাতে পারে এবং সে এখন স্কুল এবং মাদ্রাসায় যেতে পারে। মহিলাদের ওপর আরোপিত কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা তার ওপর এখন আর লাগু হবে না।

প্রথার কিছু সীমা রয়েছে

কিন্তু বাচ্চা পোশ প্রথা কিছুর সীমা আছে। এই প্রথায় যদি যেখানে মেয়েদের ছেলেদের মত ব্যবহার করতে শেখায় সেখানেই প্রথার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যখন মেয়েটি যৌবনের অবস্থায় পৌঁছবে, তখন তাকে আবার ফেরত মেয়েদের ভূমিকায় ফিরে আসতে হবে।

Advertisement

তালিবানদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়

যদিও এখন আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন রয়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় তারা এই প্রথাকে নিয়ে কি ধরনের চিন্তাভাবনা করছে এবং কি ধরনের বিধিনিষেধ লাগু করতে চায়। তালিবান এই প্রথা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম আলাদা করে বিবৃতি দেয়নি। কারণ তার মানে মহিলাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাদের লাগাতার নিত্য নতুন নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছে তালিবানরা। কিছু মহিলাদের কাজের উপর তারা বিধি-নিষেধ আরোপ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অন্যদিকে প্রাথমিক স্কুল এর গন্ডিতেও মেয়েরা যেতে পারছে না। এতে যেভাবে মহিলাদের অধিকার হরণ হয়েছে এই প্রথার কিছু পরিবারের জন্য লাভ দায়ক হতে পারে।

কীভাবে শুরু হয়েছে বাচ্চা পোশ প্রথা?

শুরু ইউনিভার্সিটি তে এনথ্রোপলজি প্রফেসর থমাস বারফিল্ড আফগানিস্তানের ওপর বেশ কিছু বই লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এটি পরিবারের ভিতরের ঘটনা। তালিবানরা এই ব্যাপারে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে। আফগানিস্তানের বাচ্চা পোশ প্রথা নিয়ে বেশি খোঁজখবর করা হয়নি। বাচ্চা পোশ প্রথা শুরু হয়েছে। কীভাবে? এটা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। এভাবেই একই প্রথা আলবেনিয়াতে রয়েছে। পাকিস্তানের কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে যেখানে মহিলারা শপথ নেন যে তারা কুমারী থাকবেন এবং এরপর তারা নিজেকে পুরস্কৃত করবেন। এরপর থেকে তারা সম্পত্তির মালিক হন, আলবেনিয়াতে মহিলারা গ্রামের পঞ্চায়েত হতে পারেন।

 

Advertisement