আর কিছুদিন পরেই দোল, অর্থাৎ রঙের উৎসব। ক্যালেন্ডার বলছে আগামী ১৮ মার্চ শুক্রবার দোল (Dol Jatra 2022)। আর তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ, শনিবার ১৯ মার্চ হোলি (Holi 2022)। আবার তারপরের দিনই রবিবার। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে একেবারে ছুটির মরশুম। আর এই ছুটিতে আপনি যদি কম বাজেটে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন তাহলে এই প্রতিবেদনে পেতে পারেন তেমনই কিছু জায়গার সন্ধান, যেখানে আপনি ছোট ছুটিতে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন।
বোলপুর-শান্তিনিকেতন : বীরভূমের বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব বরাবরই খুবই জনপ্রিয়। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে রয়েছে বিবিধ বিধিনিষেধ। যদি চেনা পরিবেশের বাইরে লালমাটির বুকে কয়েকটা দিন কাটানোর প্ল্যান থাকে তাহলে চলে যেতেন পারেন বোলপুর-শান্তিনিকেতনে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গায় ২-৩ দিন কাটতে ভালই লাগবে।
নবদ্বীপ-মায়াপুর : নদিয়া জেলার এই জায়গা বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক মহাতীর্থ ক্ষেত্র। দোল বা হোলির ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন এখানেও। ছোট-বড় বিভিন্ন মন্দিরের পাশাপাশি মায়াপুরের ইসকন মন্দির আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আর খরচও আপনার নাগালের মধ্যেই।
মহিষাদল রাজবাড়ি : দোলের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ি। এখানকার দোল উৎসবও খুবই বিখ্যাত। তাই শহরের ভিড়ের বাইরে ঘুরে আসতে পারেন এখানেও।
বিষ্ণুপুর : বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পর্যটকদের কাছে বরাবরই প্রিয় গন্তব্য। এখানকার বিভিন্ন মন্দিরের টেরাকোটার কাজ চোখ জুড়িয়ে দেয়। তাই দোলের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন এই জায়গাকেও।
কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির : অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির ও সংলগ্ন আরও কিছু দ্রষ্টব্য স্থান পর্যটকমহলে খুবই জনপ্রিয়। তাই দোল উপলক্ষে ঘুরে আসতে পারেন কোচবিহারও।
আরও পড়ুন - খাওয়ার জন্য কেনা হয় কিন্তু চাষ করা যায় না, জানেন কোন জিনিস?