Bihar: পড়শিদের মধ্যে বিবাদ নতুন কোনও ব্যাপার নয়। এ রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকী বিশ্বের অনেক জায়গায থেকে তেমন খবর জানতে পারা যায়। আর এ নিয়ে কখনও হাতাহাতি হয়, কখনও বা মুখ দেখাদেখি বন্ধ।
আশ্চর্য করে দেওয়ার মতে ঘটনা
তবে বিহারে যা হয়েছে তা জানলে আশ্চর্য হতে হবে। অনেকক্ষণ ভাবতে হবে কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া যেতে পারেষ, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আসুন জেনে নিই কী হয়েছিল।
মুজফফরপুরে
এটা বিহারের মুজফফরপুরের ঘটনা। বড়ই অদ্ভুত মামলা। সব দেখেশুনে, ঘটনার কথা জানতে পেরে সবাই তো তা-ই বলছেন। এই ঘটনার বাদী এবং বিবাদী পক্ষ দুই পুলিশকর্মী। তাদের পুলিশ লাইনের কোয়ার্টার খালি করা নিয়ে সমস্যা।
তালা কই!
তা খালি করার জন্য এক পুলিশকর্মী তালার বদলে হাতকড়া লাগিয়ে দিয়েছেন। আর স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়া পুলিশকর্মীর স্ত্রীকে বাইরে বের করে দিয়েছেন।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। এই মামলার শেষমেশ ডিএসপি কাছে পৌঁছেছে। আর তখন পুলিশকর্মীর স্ত্রীকে দিন কয়েকের সময় দেওয়া হয়েছে সেখানে থাকার জন্য।
বদলির পর
ওই জেলায় বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন ভগবান শর্মা নামে হাবিলদার। তাঁর কোয়ার্টার পুরনো হাসপাতালে ভবনে। তাঁকে হাজীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তবে ওই কোয়ার্টারে রয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীরা দেবী আর ছেলে। কোনও কাজের জন্য তাঁরা বাইরে গিয়েছিলেন। আর তখনই কোয়ার্টারের দরজায় তালার জায়গায় হাতকড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর থেকেই তুমুল হইচই। তারা ফিরে এসে দেখেন এই অবস্থা।
ছবি ভাইরাল
মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাঁকে জানান কোয়ার্টার খালি করতে হবে। তারপরই তালা খোলা হবে। তখন মীরা দেবী রেগে যান। আর শুরু হয়ে যায় বিবাদ। যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এবং এই পোস্টের পর সেখানে লাগানো হাতকড়ির ছবি বেশ ভাইরাল হয়ে যায়। তখন পুলিশ লাইনের আধিকারিকের ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন
এই ঘটনার পরে মীরা দেবী ছেলেকে নিয়ে এসএসপি নিবাসে অভিযোগ জানাতে যান। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে কিছু না জানিয়েই এ কাজ করা হয়েছে। তাঁকে বিরক্ত করার জন্য এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। তাঁর ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সে কারণে তিনি এখন এ দোর থেকে ও দোরে ঘুরে যাচ্ছেন। ঘুরতে বাধ্য হচ্ছেন। এসএসপি নারায়ণ শর্মা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।