Halloween In Saudi Arabia, World Surprised: সৌদি আরবের মত দেশ, যাকে বিশ্বের ইসলামিক কেন্দ্র বলা হয়, সেখানে মহাসমারোহে পালিত হলো হ্যালোইন। এই সেলেব্রেশন এর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সামনে চলে এসেছে। আর তারপরেই গোটা বিশ্বজুড়ে নতুন বিবাদের জন্ম নিয়েছে। সৌদি আরবে পালিত হওয়া এই হ্যালোইন অনুষ্ঠান এখন চর্চার কেন্দ্রে। আসলে কিছু বছর আগে পর্যন্ত সৌদি আরবে এমন কিছু করা তো দূর অস্ত, চিন্তাভাবনা করাও ছিল কল্পনা। মোহাম্মদ বিন সালমান (MBS) এর ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পরেই সৌদি আরবে ইসলামিক রেওয়াজে অত্যাধুনিক বদল আসতে শুরু করেছে। এমন বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, তার প্রমাণ এ বছরের হ্যালোইন অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত জায়গা পৌঁছেছে।
আরও পড়ুনঃ : এক টুকরো ঘুঁটে ভাগ্য ফেরানোর ক্ষমতা রাখে, লক্ষ্মীর কৃপাও, কীভাবে ব্যবহার?
সৌদি আরব সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যালোইন পালনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সমস্ত মুসলিম লোকেদের সৌদি আরবের সরকারের এই সিদ্ধান্ত হয়তো ভাল লাগেনি। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে লোকেরা হ্যালোইন সেলিব্রেট করা হারাম এবং হালালের বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর সংখ্যায় লোকেরা একে হারাম বলে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ এটি ইসলামের বিরুদ্ধে। সেখানে অনেকে এটিকে সাধারণভাবে নিয়েছেন। কিছু লোকেরা এটিকে মহম্মদ বিন সালমানের রাজত্বে সৌদি আরবে হতে থাকা বড় বদলের সংকেত বলছে।
টুইটারে এক ইউজার জানিয়েছেন যে, আমি দেখেছি যে এ বছর প্রচুর সংখ্যক মুসলিম হ্যালোইন অনুষ্ঠান পালন করছেন। একজন মুসলিম হয়ে হ্যালোইন পালন ঠিক নয়। আল্লাহ সবাইকে মাফ করুন।
আরও এক ইউজার লিখছেন যে সৌদি আরবে যদি হ্যালোইন পালন করা হয়, তাহলে এর অর্থ হলো কেয়ামত এখন খুব বেশি দূরে নয়। ইউজার লিখেছেন যে আমাদের পয়গম্বরের পারম্পরিক পোশাককে শয়তানি মাস্কের সঙ্গে পড়া হচ্ছে। এটা কোনও মজার জিনিস নয়।
এক অন্য ইউজার লিখেছেন, সৌদি আরবে কি চলছে? কি শুরু হয়েছে? এখন এরা হ্যালোইন পালন করছেন। যতটা আমি বুঝি যে এটি ইসলামের জন্য হারাম।
আরও এক ইউজার লিখেছেন যে, গোটা দুনিয়া জানে যে ইসলাম কি? তাহলে কেন তোমরা ইসলামের বিরুদ্ধে যাচ্ছ। সৌদিতে হ্যালোইন শুরু করবেন না, আল্লাহকে ভয় পান।
আরও এক ইউজার বলেছেন যে এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক যে এক পশ্চিমী উৎসব পালন করছে মিডল লিস্টের দেশ।
কেউ ভূত, তো কেউ পেত্নী
সৌদি আরবের রাস্তায় চারিদিকে শয়তানের মুখোশে সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লোকেরা। সৌদি আরবে মক্কা এবং মদিনা মসজিদে আসা পৃথিবীর প্রত্যেক মুসলিমের স্বপ্ন থাকে। হজ করে ফিরে যাওয়া লোককে হাজি বলে এলাকায় বিশেষ সমাদর করা হয়। কেউ সেখানে হজ করতে পৌঁছান তো কেউ সেখানে ঈশ্বরের ভক্তির জন্য লীন হতে চান। যখন লোকেরা হজে যান তখন শেষ দিন একটা এমন প্রক্রিয়া থাকে যাতে তিনটি স্তম্ভের উপর হজ করতে যাওয়া লোকেদের উপর পাথর ছোড়া হয়। এই স্তম্ভ কে শয়তান বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সিজন চেঞ্জে গলা ব্যথা? ৮ সহজ টোটকায় মুক্তি
হজের সঙ্গে জড়িত রেওয়াজ থেকে পরিষ্কার জানা যায় যে, সৌদি আরবে শয়তানেরকে কীভাবে মান্যতা দেওয়া হয়। হ্যালোইনও শয়তানি শক্তির সঙ্গে জড়িত একটি উৎসব। এই কারণে লোকেরা ভুত প্রেত বা অন্যরকম ভয়ংকর লুক নিয়ে বাইরে ঘুরছেন। তবে হ্যালোইনের মত উৎসব, ইসলামিক রাষ্ট্রতে পালন করা হচ্ছে। এটা মুসলিম লোকেদের জন্য আশ্চর্যের। যদিও সৌদি আরবের ছবি এবার কিছুটা আলাদা। রাজধানীর রিয়াদের কথা বলতে গেলে, বহু এলাকা সড়কের দূর দূর পর্যন্ত শয়তানের রূপে ঘুরতে থাকা লোক নজরে পড়বে একাধিক লোককে। মুখে শয়তানের পোশাক ও সঙ্গে সৌদির পারম্পরিক ড্রেস।