মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিয়ে হয় মোট ১১ দম্পতির। তবে সেই বিয়ের আসরেই কনের সাজে এক ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন এক তরুণী। আসলে ওই তরুণীর হবু বর তখন গিয়েছিলেন দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিতে।
এই বিষয়ে পাত্র রামজি সেন বলেন, তিনি সারা বছর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁর মনে হয়েছে বিয়ের আগে পরীক্ষাটা দেওয়া খুবই জরুরি। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অন্যদিকে পাত্রী প্রীতি সেনও তাঁর স্বামীর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, পড়াশোনায় প্রতি এমন গুরুত্ব দেওয়া খুবই ভাল বিষয়। পরীক্ষা না দিলে গোটা বছরটাই নষ্ট হয়ে যেত।
আরও পড়ুন - Tricky Interview Questions : Password-কে হিন্দিতে কী বলা হয়?
জানা গিয়েছে, সোশ্যাল সায়েন্স পরীক্ষা ছিল রামজি সেনের। পরীক্ষা দিয়ে ৩ ঘণ্টা পর ফেরেন তিনি এবং বিয়ের আচার-বিধি পালন করেন। তিনি বলেন, এদিন তাঁর ২টি পরীক্ষা ছিল। একটি পড়াশোনার, অপরটি জীবনের। দুটি পরীক্ষাতেই পাশ করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরের কল্যাণ মণ্ডপে এই গণবিবাহের আয়োজন করে বুন্দেরখণ্ড পরিবার। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হতে পেরে সেন দম্পতির মতো খুশি বাকিরাও।
আরও পড়ুন - প্রিসাইডিং অফিসারের মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে ছাপ্পার অভিযোগ