
প্রেমের টানে ফের সীমান্ত পার করে এলেন এক পাকিস্তানি তরুণী। তাও আবার শহর কলকাতার বাসিন্দা এক যুবককে ভালবেসে। ক্রস-বর্ডার প্রেমের এই গল্পই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই পাকিস্তানি তরুণী তাঁর হবু বরের সঙ্গে দেখা করতে আজ ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলেন। পাকিস্তানি ওই তরুণীর নাম জাভরিয়া খানম। যিনি আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত জিয়ে ৪৫ দিনের জন্য ভিসা নিয়ে তাঁর হবু স্বামীর দেশে এসেছেন। তরুণীর সঙ্গী সমীর খান এসেছিলেন তাঁকে স্বাগত জানাতে। তরুণীকে নিয়ে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন তাঁর বাবা আহমেদ কামাল খান ইউসুফজাই।
জানা যাচ্ছে সমীর ও জাভরিয়া পাঁচ বছর ধরে সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন এবং২০২৪ সালের প্রথম দিকে গাঁটছড়া বাঁধবেন। জাভারিয়া এবং সমীরের আগেই বাগদান হয়ে গিয়েছে। ওই পাকিস্তানি মহিলার সাম্প্রতিক ভারত সফর তাঁর জানুয়ারিতে নির্ধারিত বিয়ের প্রেক্ষিতে। ভিসা সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর তিনি তাঁর বাবা আজমত খানের সঙ্গে এদিন ভারতে প্রবেশ করেলেন। অমৃতসরের আটারি সীমান্তে সাক্ষাতের পরে, বাবা-মেয়ে দুজনেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে এবার কলকাতায় আসছেন।
Javaria Khanam from Karachi, Pakistan, arrived in India via the Wagah Border. She has been granted a 45-day visa to India. Her fiance, Samir Khan, and future father-in-law, Ahmed Kamal Khan Yusufzai, from Kolkata received her at Wagah Border. They are getting married in the first… pic.twitter.com/CYwbV7X3ve
— Gagandeep Singh (@Gagan4344) December 5, 2023
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জাভরিয়ার বহু বর সমীর খান আসলে প ঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা, তবে এখন তাঁর বাস বাংলাতে। বিয়ে হবে কলকাতাতেই। এই বহু দম্পতি ইসলামিক রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের আনুষ্ঠান করবেন। এদিকে, ওই মহিলা বিয়ের পর তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চান বলে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
পাকিস্তানি কনে এবং ভারতের বর, দুজনের আগেই নাকি বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু পাত্রী ভারতের ভিসা পাচ্ছিলেন না। এ কারণে উভয় পরিবারে চরম উত্তেজনা চলছিল। তবে এবার পাকিস্তানি পাত্রীকে ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার জাভারিয়া ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছেন। তথ্য অনুযায়ী, করাচির বাসিন্দা আজমত ইসমাইল খানের মেয়ে ২১ বছর বয়সী জাভেরিয়া খানমকে ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। এদিকে বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু জাভেরিয়া ভারতে আসার জন্য ভিসার আবেদন করলে তা বাতিল হয়ে যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা চরম হতাশ হয়ে পড়েন।
দু'বার ভিসা বাতিল হয়েছিল
কিন্তু তিনি আবার ভিসার জন্য আবেদন করেন। দ্বিতীয়বারও জাভেরিয়ার ভিসা বাতিল করা হয়। এরপর সমীরের পরিবার সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মকবুল আহমেদ ওয়াসি কাদিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা জানতে পারে যে মকবুল অনেক পাকিস্তানি বধূকে ভিসা পেতে সাহায্য করেছেন। সমীর ও তার বাবা ইউসুফজাই তাদের সমস্যার কথা মকবুলকে জানান। এরপর মকবুলের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয় এবং ভারত সরকার জাভেরিয়াকে ভিসা দেয়। এই ভিসা ৪৫ দিনের জন্য বৈধ।