নদীর জল কেমন হয়? জল যেমন হয়, তেমনই। স্বচ্ছ, সাদা। কিন্তু আচমকা যদি ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে আপনার বাড়ির পাশ দিয়ে যে নদীটি বয়ে যাচ্ছে, তার জল সাদা থেকে আচমকা হয়ে গিয়েছে গেরুয়া। তাহলে তা কেমন হবে? ঘাবড়ে যাওয়ার কথা নিশ্চয়ই। এটাই স্বাভাবিক, আর এমনটাই ঘটেছে স্লোভাকিয়াতে (Slovakia)। একটি নদীর জল রহস্যময়ভাবে রাতারাতি জলের রং থেকে গেরুয়া হয়ে গিয়েছে। এটি স্লোভাকিয়ার একটি পারিপার্শ্বিক বিপদ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর জল আচমকা কেন বদলে গেল, তাতে অবাক হয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্লান নদীর জল গেরুয়া হয়ে গেল
রিপোর্ট অনুযায়ী স্লোভাকিয়ার একটি লোহার খাদান এর কারণে স্লোভাকিয়ার স্লানা নদীর (Slana River) জল গেরুয়া (Saffron) হয়ে গিয়েছে। যার কারণে বন্য জীবজন্তুরা (Wild Animal) সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। নদীর রং বদলে যাওয়ার পর লোকাল অথরিটি (Local Administration) তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, স্লানা নদীর দূষিত জল কম করতে প্রশাসন চেষ্টা করছে। সেখানে নদীর কাছে যে সমস্ত গ্রামগুলি রয়েছে। সেগুলি বিপদে পড়ে গিয়েছে। তাদের পালিত জীবজন্তু এমনকী তারা নিজেরাও নদীর জল ব্যবহার করতে পারছেন না (Water of the River Became Unusable)।
নদীর আশপাশের গ্রামগুলি হতাশ
এভাবে নদীর আশপাশের গ্রামগুলি রয়েছে, তাদের হতাশ দেখা যাচ্ছে। কারণ ওই জলগুলি পান বা ব্যবহারের অযোগ্য তারা মনে করছেন। যে এই নদীর মধ্যে আর কোন জলজ প্রাণী (Water Animal) অথবা জীব বেঁচে নেই। গোটা দেশের বাস্তুতন্ত্রকে (Eco System) প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র জলে লোহার মরিচা (Iron) বয়ে যেতে দেখেছেন।
লোহার খাদান থেকে জল গেরুয়া হয়েছে?
যে খনন কোম্পানিটি কাজ করছে এলাকায়, তাদের বক্তব্য এর অনুসারে এটি ২০০৮ সালে খুঁড়ে রাখা একটা আয়রন পকেট। যা এখনও নদীর নীচে মজুত রয়েছে। কিন্তু বন্যার কারণে এটি এখন উপরে চলে এসেছে। তারা জানিয়েছেন যে জলের মধ্যে অধিক মাত্রায় আয়রন বয়ে যাওয়ার কারণে জলের রং গেরুয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়।
নদীতে বিষ আছে, না নেই?
আপাতত স্লোভাকিয়ার ইকোনমি মন্ত্রী রুডনে বেন খনন কোম্পানিকে এই বিষয় সুনিশ্চিত করতে বলেছে যে, খাদান নদীর নীচের অংশে যেন না বয়ে যায় সেটি দেখতে। সেখানে কোম্পানি নদীর পরিস্থিতি ঠিক করতে স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রকের কাছে ২ লাখ ইউরো, প্রায় ১ কোটি ৬৪ হাজার টাকা দাবি করেছে। অন্যদিকে স্লোভাকিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় এর বক্তব্য যে, নদীতে মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ মজুত রয়েছে।