Cha Kaku Tea Stall Siliguri: লকডাউনের মধ্যে জোর করে চা খেতে বেরিয়ে বিখ্যাত বা কুখ্যাত হয়েছিলেন সেই চা কাকুকে মনে আছে নিশ্চয় সবার।মৃদুল দেব এক লহমায় বিখ্যাত হয়েছিলেন চা-কাকু নামে। তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি "আমরা চা খাব না? খাব না আমরা চা " তো রীতিমতো মিথে পরিণত হয়েছে। ভূভারতে এমন বাঙালি নেই যে সেই উক্তি শোনেনি। এরপর গঙ্গা-তিস্তা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। চা কাকুকে নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাঁটা পড়লেও তাঁকে যে কেউ ভোলেনি, আর চা সম্পর্কিত যে কোনও জায়গায় সেই চা কাকু যে রীতিমতো এখনও হিরোর তকমা পান, তার প্রমাণ দিল শিলিগুড়ি। এবার চা কাকুকে মনে রেখে চায়ের দোকান খুললেন কয়েকজন যুবক। আসুন জেনে নিই ব্যাপারখানা কী?
আরও পড়ুনঃ বিমানবন্দরে PM মোদীর পা ছুঁলেন পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপ, Viral
আরও পড়ুনঃ নিয়মিত এই জিনিস ব্যবহার করলে চেহারায় কখনও পড়ে না বয়সের ছাপ
এবার চা-কাকুর সেই ভাইরাল ‘উক্তি’কে মনে রেখে ক্রেতা টানতে নতুন দোকান খুলেছেন শিলিগুড়ির চার বন্ধু। দোকানের নাম অনুমান করার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। নাম হল, “খাব না আমরা চা?” এমনিতেই আজ পর্যন্ত কোনও চায়ের দোকান চলেনি, এমন ঘটনা বিরল। তাতে একটু বাড়তি আকর্ষণ আনতে দোকানের নাম রাখা হয়েছে খাব না আমরা চা? শুধু নাম নয়, চা কাকুর ছবিও বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে।
শিলিগুড়ি শহরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ও ভুটিয়া মার্কেটের পাশে মহকুমা পরিষদ ভবনের একেবারে উল্টোদিকে এই চায়ের দোকান খুলেছে কয়েকদিন হল। আর নামের কারণে খুলতেই সুপারহিট। চা খেতে ভিড় করছেন চা-প্রেমীরা। চা-কাকুর বাণী যেমন ভাইরাল, সদ্য খোলা এই দোকানটিও ভাইরাল হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৬ টায় দোকান খুলে যায়, বন্ধ হয় রাত ১০টায়। দোকানে রয়েছে নানা রকম চা, দাম ২০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০ টাকা পর্যন্ত। চা ছাড়াও রয়েছে, ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে বিকেলের স্ন্যাক্স সহ নানা ধরনের খাবার।
এই চায়ের দোকানের অন্যতম কর্ণধার সানি সুমন দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় থেকেই চা কাকু ও তাঁর ভাইরাল উক্তি ফলো করেছেন। পরে যখন চায়ের দোকান খোলার কথা চিন্তা করি, তখন একটু অন্যরকম নাম খুঁজছিলেন যা মানুষের পছন্দ হবে। আর চায়ের প্রতি ভালবাসার ক্ষেত্রে চা কাকুর চেয়ে ভাল নাম আর মাথায় আসেনি। নামের টানেই রোজ ভিড় হচ্ছে দোকানে। চায়ের আড্ডা জমাটি করতে দোকানে টিভি লাগাবেন তাঁরা। তাতে চলবে নিউজ চ্যানেল। থাকবে খবরের কাগজও। যাতে চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে সুবিধা হয়। ক্রেতারাও খুশি, মনের খোরাক পেয়ে।