চিতাবাঘের হানার পর এবার ফের শিলিগুড়ি শহরে ঢুকে পড়লো ইয়া দাঁতাল একটি হাতি। দলছুট হাতিকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখে ঘুম ছুটল শহরবাসীর।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের চম্পাসারি এলাকার মিলন মোড় এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালো হাতিটি। কখনও শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে কলাগাছ উপড়ে ফেললো, কখনও আবার সামনে দেওয়াল দেখে তাকে ঠেলে ফেল দিল দূরে।
এই নিয়ে চলতি বছরে ছ বার হাতি ঢুকে পড়লো শহরে। এদিন যদিও বনদপ্তরের কার্শিয়াং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের সুকনা রেঞ্জের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা পৌঁছে হাতিটিকে মহানন্দা অভয়ারণ্য পাঠায়।
শিলিগুড়ির মিলন মোড় লাগায়োই মহানন্দা অভয়ারণ্যের গুলমা বন এলাকা। ফলে মাঝে মধ্যেই চিতাবাঘ, বাইসন, হরিণের দেখা মেলে আসপাশে। হাতির ডাক শোনা গেলেও তারা অবশ্য খুব একটা এদিকে আসেন না।
এদিন হাতিটিকে এলাকায় ঘুরতে দেখে তাই হতচকিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে হাতিটি বেশ কিছু অনিষ্ট করে ফেলেছে।
তবে লোকালয় হলেও ওই এলাকায় গজরাজের খাবার মতো খুব একটা জিনিস নেই। একে নদীর চর থেকে বসতি গড়ে উঠেছে। ফলে দু চারটি নতুন বাসিন্দারা বাগানে মরশুমি ফুল ছাড়া তেমন কিছু মেলেনি। ফলে বিফল মনোরথ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে সে।
এর আগেই এই সপ্তাহ আগে শিলিগুড়ির পবিত্র নগর এলাকাতে একটি বাড়িতে চিতাবাঘ ঢুকে পরে। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সকালে মিলনমোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি দলছুট হাতিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
এদিন হাতি ঢোকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কার্শিয়াং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের শুকনা রেঞ্জের এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা পৌঁছে হাতিটিকে তাড়িয়ে মহানন্দা অভয়ারণ্যে পাঠায়।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ওই এলাকায় লোকালয়ে হাতির হানা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও সুরত্ন শেরপা জানান," এদিন ছটা নাগাদ একটি হাতি মিলন মোড়ে ঢুকে পরে। এটি একটি পুরুষ হাতি। এরপর শুকনা রেঞ্জের এলিফেন্ট স্কোয়াডের কর্মীরা গিয়ে হাতিটিকে ফের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়"।