NOTIFICATIONS
19th Apr
শিশুদের ঘরবন্দি দশার অবশেষে অবসান ঘটাতে চলছে। টানা ছ মাস পার্ক বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলতে চলছে পার্ক। যাঁদের দুটো ডোজের করোনার টিকা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে তাদের পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষভাবে পার্কের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর প্রবেশে অনুমতি মিলবে। করোনার জেরে রাজ্যের সমস্ত কিছু স্তব্ধ হয়েগিয়েছিল।
সংক্রমণ এড়াতে উত্তরবঙ্গে বনদপ্তরের উদ্যান ও কানন বিভাগের অন্তর্গত ৩২ টি পার্ক বন্ধের ঘোষণা করেছিল রাজ্য বন দপ্তর।
জানা গিয়েছে, গত বছর করোনার কারণে পার্কগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হয়েছিল পার্কগুলি।
তবে দুমাস চলার পর অবশেষে ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ফের মার্চের ১৩ তারিখ থেকে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত পার্ক। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে খুলে গেল বন দপ্তরের উদ্যান ও কানন বিভাগের অন্তর্গত পার্কগুলি।
তবে এ ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত লাগু করছে বনদপ্তর। জানা গিয়েছে, পার্কের ভেতরে অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। এ ছাড়াও যাঁদের দুটো ডোজের করোনার টিকা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাদের পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
যাঁরা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষভাবে পার্কের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রবেশে অনুমতি মিলবে। কিন্তু যাদের কোনও ডোজই নেওয়া নেই, তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে, শিশুদের সুরক্ষার কথা সুনিশ্চিত করতে পার্কে সারপ্রাইজ ভিজিটে যাবে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা। ঢোকার মুখে থাকবে থার্মাল গান, মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পার্কের ভেতরে নজরদারির বাড়াতে অতিরিক্ত বনকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।
বন দপ্তরের উত্তরবঙ্গের উদ্যান ও কানন বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অঞ্জন গুহ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে বজায় রাখা হবে।
নজরদারি করতে সারপ্রাইজ ভিজিট করবে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালের আধিকারিক ও চিকিৎসকরা। করোনার টিকাকরণ যাদের আছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
