মালদা মেডিক্যালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। মৃত শিশুর পরিবারে বাড়ি মালদার গাজোল থানার সাংডাঙা পাড়া এলাকায়। শিশুটির বয়স তিন বছর। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ মালদা মেডিক্যাল স্থানান্তর করে। রাত একটার সময় মৃত্যু হয় শিশুর। জানা গিয়েছে গাজোলের বাসিন্দা আলিম নূর খাতুন প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে মালদা শহরের এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয় বুধবার। ওই দিনই ছেলে শিশুর জন্ম দেন। এরপর থেকে শিশুটি জন্ডিসে আক্রান্ত হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। এরপর তড়িঘড়ি শিশুকে শুক্রবার মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করলে রাত্রিবেলা মৃত্যু হয় তার।
যদিও মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন,শিশুটিকে এক বারে শষ মুহুর্তে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমাদের শিশু চিকিৎসকেরা তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে তাকে রক্ষা করা যায় নি। তিনি আরও বলেন অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা অভিযোগ করছেন তাদের শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে না। সেই কারনে আজ থেকে চিকিৎসকেরা চিকিৎসার পাশাপাশি অভিভাবকদের সঙ্গে এক ঘন্টা শিশু চিকিৎসকেরা কথা বলবেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানিয়েছেন, ‘শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমনের হদিস মিলেছে। ইতিমধ্যেই তাকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করা হয়েছে অন্য ওয়ার্ডে। এখানে শিশুদের করোনা চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।‘
মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিশু করোনা সংক্রামিত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে মেডিকেলের মাতৃমা শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জন শিশুর। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০।
মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত শিশুরা জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে মালদা মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে তাদের করোনা সহ বিভিন্ন একাধিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে মালদা জেলার বেশ কিছু শিশুর শরীরে মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম রোগ ধরা পড়েছে।