"চাইনা আর গুগল, জুম, আমরা চাই স্কুল রুম" এই ভাবে গান গেয়ে স্কুল খোলার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকরা। আর এই আন্দোলন এখন ভাইরাল।
শুক্রবার দুপুরে মালদহের চাঁচলের ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ এ শামিল হলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ছাত্র ছাত্রীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ পাশে এসে দাঁড়াল শিক্ষকেরা।
কোভিডের জেরে গত দুই বছর স্কুলের মুখ দেখতে পায়নি হাতেখড়ি দেওয়া ক্ষুদে থেকে স্কুল কলজের ছাত্র-ছাত্রীরাও। অনলাইন পঠন-পাঠনে হাঁপিয়ে উঠেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ঠিক মত ক্লাস তারা করতে পারছেন না যার কারণে লেখাপড়ায় তৈরি হয়েছে বিশাল ঘাটতি।
ইতিমধ্যে বিধিনিষেধ মেনে বাজার হাট থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়ি সবই খোলা থাকছে কিন্তু তাহলে বন্ধ কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? এই প্রশ্ন ছুড়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন চাঁচলের সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন, চাঁচল রানি দ্রাক্ষায়ণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সহ ওই এলাকার একাধিক স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে স্কুল খোলা হোক। আমরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে চাই।
যদিও ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ এ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্কুলের শিক্ষকেরা। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন এর শিক্ষক কালীচরণ রায় জানান, বাজার হাট, বিয়েবাড়ি সব খোলা। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? কোভিড বিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক এই দাবিতে আজ আমরা সরব হলাম। পাশাপাশি আমরা মহকুমা শাসক এবং স্কুল পরিদর্শক কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করব।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিক্ষোভকে সমর্থন না করলেও স্কুল খোলার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। সংক্রমণের হার কমেছে কিন্তু মৃত্যুর হার বেড়েছে বলে দাবি তাঁর। তাই এই পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ রাখা সরকারের সঠিক পদক্ষেপ বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে দ্রুত স্কুল খুলবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।