আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রাজ্যজুড়ে দাবদাহ এবং তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্তত চারটি শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কমবেশি হাঁসফাঁস অবস্থা। ঠিক সেই সময়ে উত্তরবঙ্গে কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।
হালকা গরমের আভাস থাকলেও তাপমাত্রা কোথাও মাত্রা এখনও ছাড়ায়নি। একমাত্র দক্ষিণবঙ্গ লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
বাকি পাহাড় সংলগ্ণ তরাই-ডুয়ার্সের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলাগুলিতে এখনও তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই।
উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কখনও দমকা হাওয়া সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই ধরনের আবহাওয়া থাকবে। আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে কখনোই সহ্য সীমা ছাড়াবে না।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় যেখানে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ঘোরাঘুরি করছে, অন্যদিকে দার্জিলিং এর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে।
ফলে ছুটিছাটা না থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে নিতান্তই যারা অপারগ, তারা ছাড়া সকলেই এখন পাহাড়মুখী। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এর মতো প্রচলিত ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলিতে রয়েছে। পাশাপাশি অপ্রচলিত হোমস্টেগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন মূলত রাজ্যের দক্ষিণ অংশের মানুষেরাই।
আচমকা দক্ষিণবঙ্গ থেকে এসে পড়লে মনে হবে যেন এয়ারকন্ডিশন শহরে এসে পৌঁছেছেন। বাড়তি পাওনা টয়ট্রেন ও নয়নাভিরাম দৃশ্য। কাঞ্চনজঙ্ঘার পরিষ্কার ভিউ এ সময় পর্যটকদের আকর্ষণ শৈলশহরের দিকে বাড়িয়ে তুলছে অনেকটাই।
২৫ এপ্রিল সোমবার শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ২৫, ডিগ্রি, মালদা ২৬ ডিগ্রি, দার্জিলিং ১২ ডিগ্রি, কোচবিহার ২৩ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। ফলে এ থেকেই পরিষ্কার। কলকাতার সঙ্গে বা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে তাপমাত্রার পার্থক্য কতখানি।
পর্যটকদের ভিড় এতটাই বেড়েছে যে সামাল দিতে না পেরে টয়ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাতে কিছুটা সামাল দেওয়া গিয়েছে।