ভিস্টাডোমের প্রথম দিনের যাত্রাতেই বিতর্ক চরমে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়ি উদ্দেশে ট্রেন ছাড়তেই অনেক যাত্রী ট্রেন ছেড়ে নেমে পড়তে চাইলেন।
অনেকেই প্রশ্ন তুললেন ট্রেনের ইঞ্জিন দেখার জন্য কি ৭৭০ টাকা দিয়ে এই ভিষ্টাডোম কোচে উঠেছি ? ১০০ টাকা দিয়ে সাধারণ কোচেই উঠতে পারতাম।
যাত্রীদের ক্ষোভের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, দুপুর দুটোয় আলিপুরদুয়ার থেকে যখন ট্রেনটি এনজেপির উদ্যেশ্য রওনা দিচ্ছে, তখন ভিস্টাডোম কোচটি ট্রেনের ইঞ্জিনের পিছনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর জেরে বাইরের দৃশ্য দেখার কাঁচের তৈরি যে ব্যালকনি এবং সেলফি জোন, সেটা গোটা ইঞ্জিন দিয়ে ঢেকে গিয়েছে। ফলে বাইরের দৃশ্য দেখা পুরোপুরি বন্ধ যাত্রীদের কাছে।
যাত্রীদের অভিযোগ আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেনটি এনজেপি যাবার সময় ভিস্টাডোম আর সাধারণ কোচের কোনও তফাৎ নেই। তাহলে কেন এত টাকা দিয়ে টিকিট কাটব ? এত গাফিলতি কেন হবে ?
ভিস্টাডোমে চেপে আলিপুরদুয়ার থেকে এনজেপি যাবার পথে ডুয়ার্সের জঙ্গল দেখার একমাত্র উপায় কাঁচের জানলা। যা অন্য সাধারণ ট্রেনে বসেও দেখতে করতে পারেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত,এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ার আসার পথে ভিস্তাডোম কোচটি ট্রেনের একেবারে শেষ প্রান্তে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে কাচের ব্যালকনি দিয়ে ডুয়ার্সের বর্ষাস্নাত সবুজ গালিচার মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি চুটিয়ে উপলব্ধি করেছেন প্রথম দিনের প্রথম যাত্রার পর্যটকরা।
ভিস্টাডোম কোচে চড়ে আলিপুরদুয়ার থেকে এনজেপি যাবার পথে মুর্শিদাবাদের থেকে আসা সুস্মিতা ঘোষের মন খারাপ। সুস্মিতা বলেন, আমি সকালের প্রথম যাত্রায় এই ট্রেনে এসেছি। আবার এই ট্রেনেই ফিরে যাচ্ছি।
আসার সময় কাচের ব্যালকনি দিয়ে ডুয়ার্সের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। তবে যাবার সময় মনে হচ্ছে এত টাকা খরচ করে এই ট্রেনে না গেলেও হতো। যাওয়ার সময় কিছুই দেখতে পাব না। ৭৭০ টাকা দিয়ে এই ট্রেনে যাবার কোন মানে হয়না। ১০০ টাকা দিয়ে সাধারণ কোচে গেলেই ভালো হত।
ভিস্টাডোমে করে আলিপুরদুয়ার থেকে এনজেপি যাবার পথে ক্ষুদ্ধ পঙ্কজ তিওয়ারি। তার অভিযোগ আলিপুরদুয়ার থেকে ভিস্টাডোমে করে এনজেপি ৭৭০ টাকা দিয়ে যাওয়া কোন কারণ নেই। এটা পর্যটকদের বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। আগে জানলে ভিস্টাডোমের টিকিট বাতিল করে দিতাম।
আলিপুরদুয়ার মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধরের অভিযোগ এই কোচে উঠে মন খারাপ হয়ে গেল। সাধারণ কোচ আর এই ভিস্টাডোম কোচের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।