NOTIFICATIONS
26th Apr
রবীন্দ্রনাথ, বাঘাযতীন, গান্ধীজি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি ছাড়াও বহু মনীষীদের পদধূলি পড়েছে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে। আজ জরাজীর্ণ অবস্থায়।
হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পরও আজও চরম অবহেলায় ঐতিহাসিক এই রেল স্টেশন। তাই বিশ্ব পর্যটন দিবসে টাউন স্টেশনের গুরুত্বকে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরতে অনুষ্ঠানের আয়জন করল পর্যটন সংস্থা।
অনুষ্ঠানে টাউন স্টেশনকে রক্ষা করতে পুরনিগম ও এসজেডিএ তরফে রেলকে সহযোগিতা করার আশ্বাস গৌতম দেবের।
স্বাধীনতার আগে ১৮৭৯ সালে কলকাতার সাথে শিলিগুড়িকে রেলপথের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে শিলিগুড়িতে তৈরি হয়েছিল টাউন স্টেশনটি।
এরপর ১৮৭৯ সালে প্রথম যাত্রী পরিসেবা দিতে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পৌঁছায় দার্জিলিং মেল ট্রেন । ১৮৮১ সালে শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে টয় ট্রেন যাত্রা শুরু করেছিল শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকেই। ওই বছরের ৪ ঠা জুলাই প্রথম টয় ট্রেন দার্জিলিংয়ে পৌঁছয়।
শোনা যায় শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড ধরে পাহাড়ে পৌঁছত আজকের দিনের DHR বা টয় ট্রেন। একই সাথে বিধান রোড ধরে তিস্তা পর্যন্ত যেত তিস্তা ভ্যালি এক্সপ্রেস।
এই স্টেশনের প্রতিটি কোনায় জড়িয়ে রয়েছে একাধিক মনীষীদের স্মৃতি। ১৮৮২ সালে মংপুতে যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসে ছিলেন তিনিও এই স্টেশনে নেমে পাহাড়ে গিয়েছিলেন।
তবে এত ইতিহাস ও মনীষীদের স্মৃতি জড়িয়ে থাকায় হেরিটেজ তকমা পাওয়া শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন আজ ধংসের মুখে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের আঁতুরঘর শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে ব্রাত্য রেখেই চলাচল করছে টয় ট্রেন।
তাই এবার তবে টাউন স্টেশনকে রক্ষা করতে উদ্যোগী পর্যটক সংস্থা ACT। সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কিছু পুরনো ছবি প্রদর্শিত করার পাশাপাশি ছবি আঁকা ও ছোট্ট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। একই সাথে টাউন স্টেশনে আছে টয়ট্রেনের যাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
এদিন টাউন স্টেশনে অনুষ্ঠানে এসে গৌতম দেব বলেন, টাউন স্টেশনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে অনেক মনীষীদের স্মৃতি। টয়ট্রেনকে সরকারি আয়ত্বে রেখে টাউন স্টেশনকে সংগ্রহ করা উচিত। রেল চাইলে পুরসভা এবং এসজেডিএকে সংরক্ষনের দায়িত্ব দিলে রেলকে সহযোগিতা করা হবে।
