রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবাধে, অবৈধ ভাবে বালি,পাথর চুরি রুখতে নবান্নের নির্দেশে অনলাইন পোর্টালে আবেদনের ভিত্তিতে বালি, পাথর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সে কারণেই গত পাঁচমাস ধরে নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নবান্ন। আর এতে চটেছেন উত্তরবঙ্গের কয়েক লক্ষ মানুষ। করোনার জেরে কাজ নেই, তাতে পেশার সঙ্গে যুক্তরা চরম আর্থিক অনটনে পড়েছেন বলে দাবি।
অন্যদিকে গত পাঁচ মাস ধরে রাজ্য সরকারের নির্দেশে নদী থেকে বালি, পাথর উত্তোলনে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়াতে অনাহার, অর্ধাহারে দিন গুজরান করছে উত্তরবঙ্গের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আর এর জেরে উত্তরবঙ্গের প্রতি জেলায়, জেলায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন বালি, পাথর ব্যবসার সাথে যুক্ত ট্রাক মালিক ও শ্রমিক মহল্লা।
নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের দপ্তরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো এই পেশার সাথে যুক্ত কয়েকশ শ্রমিক ও ট্রাক মালিকদের সংগঠন। শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে।
অন্যদিকে, পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার নদী গুলো থেকে অবৈধ ভাবে অবাধে বালি, পাথর উত্তোলন করছে ভুটানের ডাম্পার। অবৈজ্ঞানিক ভাবে নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলনের জেরে পালটে যাচ্ছে নদীর চরিত্র। নদীর চরিত্র, এবং গতিপথ পালটে যাওয়ার কারণে পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন, ভুটান ডাম্পার সহ মোট ৫৪ টি ডাম্পার এবং তিনটি আর্থমুভার আটক করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যার জেরে রাজস্ব কোষাগার মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
সে কারণেই নবান্ন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনলাইন পোর্টালে আবেদনের ভিত্তিতে বালি পাথর উত্তোলনে আবেদন করতে হবে। এর ফলে রাজস্ব আদায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে এই প্রশ্নও ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে অনলাইনে বালি পাথর উত্তোলন শুরু হলে এই পেশার সাথে যুক্ত কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের কী হবে? আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। সেখান থেকে যে নির্দেশ আসবে সেটাই জেলা প্রশাসন থেকে করা হবে।