Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ

চোরাই কাঠে তৈরি হচ্ছে বনকর্মীদের আসবাব, বক্সায় ব্যাপক চাঞ্চল্য

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 1/9

এ যেন রক্ষকই, ভক্ষক। খোদ রেঞ্জ অফিসেই উদ্ধার হওয়া মূল্যবান চোরাই কাঠ দিয়ে অবাধে চলছে আসবাব তৈরির কাজ। আসবাব তৈরি হতেই সেই আসবাবপত্র রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই প্লাষ্টিক দিয়ে ঢেকে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 2/9

রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই রয়েছে রেঞ্জ অফিসারের কোয়ার্টার সহ রেঞ্জের অন্যান্য পদাধিকারীদের কোয়ার্টার। প্রশ্ন উঠছে বনদফতরের আধিকারিকদের চোখের সামনেই কি ভাবে উদ্ধার হওয়া অবৈধ চোরাই কাঠ দিয়ে চলছে ফার্নিচার তৈরির কারখানা।
 

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 3/9

গত একমাস ধরে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা রেঞ্জ অফিসে এই কারবার চলছে। রেঞ্জ অসিসে ঢুকলেই চোখে পড়বে গাছ কাটার একটি যন্ত্র।নজরে পরবে আসবাবপত্র তৈরির যন্ত্রপাতি। 

Advertisement
রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 4/9

কিন্তু কি করে রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই গড়ে উঠেছে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা? কার নির্দেশে চোরাই কাঠ দিয়ে রেঞ্জ অফিসের মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে এইসব বহু মূল্য আসবাবপত্র?

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 5/9

রেঞ্জ অফিসে কি এ ভাবে চোরাইকাঠ চেরাই করে আসবাবপত্র তৈরি করা যায়? এই কাজ বৈধ না অবৈধ? সমস্ত কিছুকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 6/9

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন রেঞ্জার জিতেন কার্জি জানান, উদ্ধার হওয়া চোরাই কাঠ দিয়ে এভাবে আসবাবপত্র তৈরি করা যায় না। এটি একটি অপরাধ। চোরাইকাঠ উদ্ধার করে প্রথমে বাজেয়াপ্ত করতে হয়। তারপর সেটি ডিপোতে নিয়ে রাখা হয়।

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 7/9

এরপর সেই উদ্ধার হওয়া চোরাই কাঠ পরিমাপ করে রেজিস্ট্রারে  তুলতে হয়। তারপর সেই তথ্য ডিভিশনে জমা করতে হয়। রেজিষ্টারে উঠে গেলেই সেই অবৈধ চোরাই কাঠ সরকারি সম্পত্তি হয়ে যায়। তারপর সংশ্লিষ্ট বনদফতরের প্রধান আধিকারিকের নির্দেশে নিলাম করা হয়। আর যদি তা নিলাম করা না হয় তবে সেই কাঠ ডিপোতেই পড়ে থাকবে। কেউ সেই কাঠ ব্যবহার করতে পারবে না।
 

Advertisement
রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 8/9

কুমারগ্রামের ভলকা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রভাত কুমার বর্মন অবশ্য জানিয়েছেন ওই কাঠ গুলো সিজ করা। কোনও ফার্নিচার রেঞ্জ অফিসে তৈরি করা হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। প্রভাত বর্মন বলেন কোন কর্মী হয়তো বাড়ির পুরনো আসবাবপত্র ঠিক করছেন।
তবে ফার্নিচার বানানোর বিষয়টি ভুল তথ্য।

রেঞ্জ অফিসে লুকিয়ে রাখা কাঠ
  • 9/9

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই রেঞ্জের এক বনকর্মী জানিয়েছে যে পরিমান কাঠ উদ্ধার হয় তার থেকে বেশ কিছু কাঠ সরিয়ে রাখা হয়। বাকিটা রেজিস্ট্রার খাতায় তুলে রাখেন কর্তারা। ওই সরিয়ে রাখা কাঠ থেকেই রেঞ্জ অফিসে ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে। রেঞ্জ অফিসে যাতায়াত আছে এমন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন ফার্নিচার তৈরির পর সেগুলো রেঞ্জ অফিসেই প্লাষ্টিক দিয়ে ঢেকে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। বেশ কয়েক লাখ টাকার ফার্নিচার রেঞ্জ অসিস সংলগ্ন একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। বক্সা টাইগার রিজার্ভের পূর্ব বিভাগের অধিকর্তা পি হরিশ জানিয়েছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব ঘটনা সত্যি কি না।

Advertisement