scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

না দেখা বাবাই আদর্শ, দেশের হয়ে জান কবুল কার্গিল শহিদের ছেলের

স্মৃতিটুকু থাক
  • 1/8

বাবা যখন কারগিলে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হচ্ছেন, তখনও পৃথিবীর আলো দেখেনি ছেলে সুমন। বাবা সুরেশ ছেত্রীর শহীদ হওয়ার ঠিক চার মাস পর যখন তিনি জন্মেছেন বাবা নামক সত্ত্বা তখন শুধুই ছবি।

স্মৃতিটুকু থাক
  • 2/8

বাবা মানে ঠাকুরের আসনে রাখা আর পাঁচটা দেবতার মতো একটা ভাললাগার স্পৃহা। কিন্তু তাঁকে ছোঁয়া যায় না। খানিকটা মিথ, খানিকটা ইতিহাস। বাকিটা মায়ের কাছে শুনে রাতে ঘুমের মধ্যে একটা আধো ছায়া আধো স্পর্শ। এটুকুই সম্বল।

স্মৃতিটুকু থাক
  • 3/8

কিন্তু বাবা যে একটা বড় কাজ করতে গিয়ে আর ফেরেনি, তা ছোট থেকে শিখে এসেছে। পাড়ার মোড়ে বাবার একটা বন্দুক হাতে পূর্ণাবয়ব মূর্তি আছে। তাতে যখন প্রতি বছর কার্গিল দিবসে সকলে শ্রদ্ধা জানায়, ছেলে হিসেবে তাকে সম্মান করে, তখন অজান্তেই বুকের ছাতি ফুলে ওঠে বইকি।

Advertisement
স্মৃতিটুকু থাক
  • 4/8

মা মঞ্জুদেবী ছেলের নামের সঙ্গে না দেখা পিতার নাম জুড়ে দিয়েছেন। পিতা কেন বিখ্যাত, তা যাতে ছেলে না ভোলে তার জন্য কার্গিল শব্দটাও জুড়ে দিয়েছেন। ছেলের পুরো নাম সুমন সুরেশ কার্গিল ছেত্রী। বাবার স্মৃতি আঁকড়েই ধরে দিল্লির মৌলানা আজাদ কলেজে ডাক্তারি পড়ছে। ছেলের শরীরও উঠুক সেনার খাঁকি পোশাক, চান শহীদ জওয়ানের স্ত্রী।

স্মৃতিটুকু থাক
  • 5/8

শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি ব্লকের তারাবাড়ি গ্রামে দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম সুরেশ ছেত্রীর। বাবা তিলক বাহাদুর ছেত্রী ও মনমায়া ছেত্রী দুজনই কৃষিজীবী ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সুরেশ। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের হওয়ার সুবাদে স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল নকশালবাড়ির সরকারি স্কুল থেকে।

স্মৃতিটুকু থাক
  • 6/8

মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করার পর কার্শিয়াংয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এরপরই তিনি ১৯৯৩ সালের ১১ ই ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় নাগা রেজিমেন্টে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর থেকে টানা কয়েক বছর কাজের পর ১৯৯৬ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বিয়ে করেন।

স্মৃতিটুকু থাক
  • 7/8

স্ত্রী জানান, সুরেশ বিয়ের কিছুদিন পর কাজে যোগ দিলে টানা ১৩ মাস পর দুমাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সেই বাড়ি শেষ তার বাড়ি আসা। পরে যখন সে বাড়ি আসে তখন কফিন বন্দী তার দেহ। কারগিল যুদ্ধ চলাকালীন ৭ জুলাই ১৯৯৯ সালে যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে লড়াই করে বীরের মৃত্যুবরণ করেন।

 

Advertisement
স্মৃতিটুকু থাক
  • 8/8

সুরেশ যখন শহীদ হন, সে সময় তাঁর স্ত্রী মঞ্জু ৫ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। মঞ্জু দেবী জানান, স্বামী কার্গিল যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, এর জন্য দুঃখ থাকলেও তিনি যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তার জন্য গর্ব হয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন ছেলের এখন দুটি স্বপ্ন। এক সেনার পোশাকে পবাবাকে ফিরে পেতে চায়, আর চিকিৎসক হয়ে দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা করা।

Advertisement