scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

Government Forest Bungalows Of Doors: ডুয়ার্সে সরকারি বন বাংলোগুলি কীভাবে বুকিং-কত ভাড়া-কোথায় কোথায় রয়েছে?

পুজোর ছুটিতে চলুন
  • 1/14

দু'মাসের কম সময় বাকি পুজোর ছুটির। অনেকেই এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি, কোথায় যাবেন কিভাবে থাকবেন বিভিন্ন সময়ে আমরা বেসরকারি উদ্যোগে রিসোর্ট হোটেল হোমস্টে গুলিতে জায়গা খুঁজে নিন। সংখ্যায় অবশ্য এগুলোই বেশি কিন্তু যারা একটু ভালো এবং কোয়ালিটি ট্যুর চান তাদের জন্য আদর্শ সরকারি বনবাংলা গুলি যেমন ঐতিহ্য তেমন সেগুলির লোকেশন সরকারি হওয়ায় সেগুলির বন্দোবস্তও ঢের ভাল। খরচ খুব বেশি তা নয় এক একটি ডবল বেড রুমের খরচ দু থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে অনেকেই তে বেরিয়ে পয়সার কথা চিন্তা না করে প্রাধান্য দেন তাদের জন্য সেরা ঠিকানা এগুলি আজ আমরা আপনাদের ডুয়ার্সের কিছু জানা-অজানা ঠিকানা তুলে ধরব যেগুলি আপনি ঘরে বসে ফরেস্ট ডেভলমন্ট কর্পোরেশন কিংবা কাছের বনদপ্তরের কার্যালয় থেকে বুকিং করতে পারবেন।

হলং বন বাংলো
  • 2/14

জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্কের কোণে হলং বনবাংলো তোর্সা নদীর পাড়ে অবস্থিত। এখানে পাঁচটি ডাবল বেডরুম রয়েছে যেগুলি অত্যন্ত জায়গা বহুল এবং পরিচ্ছন্ন। এটি ডুয়ার্সের সবচেয়ে সুন্দর বনবাংলো। এখানে এক সময়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রতিবছর তার বর্ষাকালীন ছুটি কাটাতে আসতেন। এখানকার বাংলোতে বসেই হাতি, গণ্ডার, সম্বর, বাইসন, লেপার্ড, হরিণ, বিভিন্ন রকম প্রাণী দেখা যায়। পাশের বনভূমিতে বিচরণ করার সময় চাঁদনী রাতে এই বাংলোর বুক করতে পারলে তার চেয়ে ভালো ভিউ সারা ভারতবর্ষে আর কোথাও পাবেন না। ১৬ই সেপ্টেম্বরে পর থেকে এটি খুলে যাচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে ১৩৫ কিলোমিটার এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার সরাসরি ট্যাক্সি ভাড়া করে পৌঁছে যাওয়া যায় অথবা কাঞ্চনকন্যা তে নেমে আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকেও গাড়ি নিয়ে চলে আসা যায়।
 

 

কালিপুর ইকো ভিলেজ
  • 3/14

কালিপুর ইকো ভিলেজ। এটি গরুমারা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত এখানকার কটেজ ও বাংলো মেশানো প্যাটারনের বাড়ি আপনি কয়েকটা দিনেও মন ভরাতে পারবেন না। বাংলোতে বসেই আপনি পাখি, সরীসৃপ, বন্যপ্রাণী দেখতে পেতে পারেন। জঙ্গল সাফারি এবং অন্যান্য বনভ্রমণের ব্যবস্থা তো রয়েছেই। শিলিগুড়ি থেকে দু'ঘণ্টার রাস্তা। এছাড়া সেখান থেকে মাত্র কুড়ি মিনিটের রাস্তা চালসা। এছাড়াও নিউমাল জংশনে নেমে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়েও পৌঁছানো যায়

 

Advertisement
ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প
  • 4/14

ডুয়ার্সের অন্যতম সুন্দর থাকার জায়গা হল ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প। এখানকার গাছবাড়িতে বিখ্যাত সাতটি কটেজ রয়েছে। এখানে শুধু পুজো কেন যে কোন ছুটিতে এখানে কয়েকটা দিন আপনাকে বাড়ি ফিরতে দেবে না এটা হলফ করে বলা যায়। শান্ত, নিরিবিলি ও কোলাহল বর্জিত এলাকা হিসেবে এই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দীর্ঘদিন ধরে মূর্তি নদীর পারে পিলখানায় হাতিদের দেখার সুযোগ পাবেন। গরুমারা জঙ্গলের অন্তর্গত শিলিগুড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব লাটাগুড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার।

গরুমারা রাইনো ক্যাম্প
  • 5/14

গরুমারা জঙ্গলেরই আরো একটি অপূর্ব সুন্দর বন্দোবস্ত হলো গরুমারা রাইনো ক্যাম্প। এখানে গন্ডারের আনাগোনার বন্দোবস্ত করা আছে। কপাল ভালো থাকলে দু-তিনদিনে একাধিকবার ক্যাম্পে বসেই গন্ডার দেখতে পেতে পারেন। বিশেষ করে ভোর এবং সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পের আশপাশ দিয়েই ঘোরে গন্ডারের দল। এছাড়াও লেপার্ড আছে। গরুমারা রাইনো শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে দু'ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এর নিকটবর্তী স্টেশন মালবাজার থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার।

 পানঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প
  • 6/14

চাপড়ামারি জঙ্গলের অন্তর্গত পানঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প আরও একটি আকর্ষণীয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। সরকারি বাংলোতে বসে আপনি বন্যপ্রাণ যেমন দেখতে পাবেন তেমনি এখান থেকে ট্যুর করে বেরিয়ে পড়তে পারবেন বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে। মূর্তি নদীর তীরে এই জঙ্গলের অভিভূত করে দেবে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। তারপর থেকে আপনি আবার আগামী বছর ১৫ জুন পর্যন্ত বুকিং করতে পারবেন। পুজোর সময় এখানকার দুর্দান্ত লোকেশন আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে। গরুমারা, চাপড়ামারি সব জায়গাতেই মূল আকর্ষণ একশৃঙ্গ গন্ডার। এছাড়াও অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। চারটি খুব ভালো হাত পা ছড়িয়ে থাকার মত সরকারি রুম রয়েছে যেগুলি সমস্ত রকম বন্দোবস্ত আপনাকে উপভোগ্য করে তুলবে।

 

বনানী মূর্তি
  • 7/14

মূর্তিতে বনানী মূর্তি ইকো রিসর্ট। দুটি আলাদা বনবাংলো রয়েছে। যেগুলি খুব কাছাকাছি গরুমারা জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বাংলোগুলি দীর্ঘ বছর ধরেই পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। ১৫ টি ঘর বনানীতে রয়েছে। এছাড়া মূর্তি ট্যুরিজম লজে কটেজ এবং বাংলো রয়েছে আরও বেশ কিছু।

 

Advertisement
মেন্দাবাড়ি
  • 8/14

ডুয়ার্সের আরও একটি লোকেশন হল মেন্দাবাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার এবং হাসিমারা থেকে জাস্ট কয়েক মিনিটের দূরত্ব। চিলাপাতা ফরেস্টের অংশ পূর্ব ডুয়ার্সের মেন্দাবাড়ি। বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বিচরণ ক্ষেত্র জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক এবং বক্সা টাইগার রিজার্ভের বিখ্যাত এশিয়াটিক রাইনো এবং ভারতীয় হাতির ডেরা এই এলাকা। চরিত্র এক হলেও স্বাদে এবং বৈচিত্র্যে প্রতিটির আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। মেন্দাবাড়িতে আসার জন্য শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে গাড়ি মিললেও খরচ বাঁচাতে আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে সেখান থেকে আসা অনেক লাভজনক।

বক্সা জঙ্গল লজ
  • 9/14

রাজাভাত খাওয়ার বক্সা জঙ্গল লজ, বক্সা জঙ্গলের ভিতর একটি অপূর্ব মনোরম সরকারি বনবাংলোর মধ্যে একটি। তিনটে চার বেডের রুম একটি তিন বেডের রুম এবং ১০ টি ডাবল বেডরুম এবং ছয়টি ডরমেটরি রয়েছে এখানে। বেশিরভাগ রুমে এয়ারকন্ডিশন। তবে নভেম্বরের পরে গেলে এয়ারকন্ডিশনের কোন প্রয়োজন হয় না। এখানে বক্সায় পৌঁছতে সবচেয়ে সহজ উপায়ে আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকেই। তবে শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে আরামে গাড়ি পাওয়া যায়। আগে থেকে বলা থাকলে বাংলা থেকেও গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
 

নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প
  • 10/14

লাটাগুড়ির নেওড়া নদীর ধারে নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প একটু অন্য স্বাদ এনে দেবে। এখানে এই মাত্র ৪ টি কটেজ রয়েছে। যেখানে প্রতিটিতে সর্বাধিক অর্জন করে থাকতে পারে কটেজগুলি। ডাবল বেড এবং অ্যাটাচ টয়লেট, এর সঙ্গেই রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে সুন্দর একটি ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেখানে সব ধরনের খাবারই মিলে শিলিগুড়ি থেকে ৮৩ কিলোমিটার এ ছাড়া জংশন অথবা চালসা স্টেশন থেকেও আসতে পারেন। তবে চালসা স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড়ায় না।

প্যারেন
  • 11/14

প্যারেন ইকো রিসর্টে মাত্র চারটি কটেজ রয়েছে। নেওড়া জঙ্গলের কোণে অবস্থিত এটি অত্যন্ত দুর্গম। এখানে আগে থেকে খাবার দাবার বলে দিতে হয়। তবে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে না। এখানে সারা বছর এলাকায় ভালুক নেমে আসে। জনপদ থেকে দূরে প্যারেন যেন একটুকরো স্বর্গ। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার, ঝালং-বিন্দু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

Advertisement
মংপং
  • 12/14

মংপং বনবাংলো শিলিগুড়ি থেকে সবচেয়ে কাছে, সেবক এলাকায় অবস্থিত। এখানে ১৪টি কটেজ রয়েছে। সবগুলি আলাদা। এখানকার তিস্তা নদীর পারের হাওয়া এবং সবুজ বনানীতে ঘেরা এলাকা আপনাকে কবিত্ব উপনীত করতে পারে। সব রকম বন্দোবস্তই রয়েছে। খাওয়াদাওয়াও ভাল। শিলিগুড়ি থেকে ৩৪ কিলোমিটার, বাগডোগরা থেকে ৩৮ কিলোমিটার। এখানে সব সময় হুহু করে হাওয়া বয়।

সুনতালেখোলা
  • 13/14

নেওড়ার জঙ্গলে সুনতালেখোলা ডুয়ার্সের অন্যতম উঁচু জঙ্গল। এই ফরেস্টেই এখনও রয়্যাল বেঙ্গল দেখা যায় কখনও কখনও। রয়েছে হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারও। সরকারি বন্দোবস্তে কয়েকদিন জামাই আদরে জঙ্গলে থাকতে হলে এর বিকল্প নেই। এখানে ডেরা বেঁধে আপনি চলে যেতে পারেন ডুয়ার্সের নানা জায়গায়। রাতে এখানে ফিরে বিশ্রাম নিতে পারেন। অথবা এখানেই কয়েকদিন বিশ্রাম নিন। ঠকবেন না। শিলিগুড়ি ৬০ কিলোমিটারের একটু বেশি।

লোলেগাঁও
  • 14/14

ডুয়ার্সের গরুবাথান হয়ে পাহাড়ের রাস্তায় ঘিস নদীর পারে লাভা থেকে নেমে যেতে হবে কালিম্পংয়ের দিকে। লোলেগাঁও ডুয়ার্সের অন্যতম বিস্ময়। পাহাড়ের গায়ে কুয়াশার মতো লেগে থাকা একটি জনপদ। সারা বছর এখানে ঘুরতে আসা যায়। এখানে কখনও বন্ধ থাকে না। শিলিগুড়ি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরত্ব। নিউ মাল থেকে ৩৫ কিলোমিটার। যে কোনওভাবেই আসতে পারেন।

Advertisement