লকেটের অভিযোগই সত্যি? কাটমানি না দেওয়ায়, মিলছে না আবাস যোজনার ঘর

কাটমানি না দিলে মিলবে না আবাস যোজনার ঘর !মালদার কালিয়চক তিন নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব গ্রামবাসীদের একাংশ।
 

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা সুমিত্রা মন্ডল ও তার স্বামী জগদীশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা করে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর।

অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে জানিয়েছেন কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বিডিও মামুন আক্তার। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতর।                            

আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা সুমিত্রা মন্ডল। বিজেপি থেকে নির্বাচিত হয়। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি।

সেই সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী সুমিত্রা মন্ডল ও তার স্বামী জগদীশ মণ্ডল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি দাবি করছেন বলে অভিযোগ।

কাটমানি না দিলে আবাস যোজনার ঘর না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ বিডিও অফিসে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।

আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, দলের সাথে সুমিত্রা ও তার স্বামীর কোনো সম্পর্ক নেই। কাটমানি নেওয়ার জন্যই তারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, কেউ অন্যায় করলে দল পাশে থাকবে না। প্রশাসন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।