বিধায়ক বিভ্রাট, আলিপুরদুয়ারে বর্তমানকে সরিয়ে কাজ করছেন প্রাক্তন !

আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কে? এই প্রশ্নে আপাতত বিভ্রান্ত জেলার মানুষ। বিজেপির বর্তমান বিধায়ককে ব্রাত্য রেখেই  বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পরিদর্শন করে বেড়াচ্ছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী।
 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।প্রশ্ন উঠছে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের উন্নয়ন বা সরকারি প্রকল্প গুলোর রিপোর্ট বিধানসভার অধিবেশনে কে তুলে ধরবেন?প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী নাকি বর্তমান বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল!

আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির কনভেনর ভূষন মোদকের  অভিযোগ আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বাচিত পাঁচ বিধায়ক এবং সাংসদকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোন সরকারি কাজেই ডাকা হয়না। জেলার কি উন্নয়ন হবে,জেলার জন্য কি করা উচিৎ কোন কিছুই বিজেপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জানানো হয়না। সংসদীয় গনতন্ত্রে এমন ঘটনা বেনজির। 

এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার জেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ভবন, সিএমওএইচ বিল্ডিং নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ, পলিটেকনিক কলেজ নির্মাণ সহ আরও বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ। মাঝে মধ্যেই এই সরকারি প্রকল্পের কাজ গুলো পরিদর্শনে যান প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। 

সৌরভ চক্রবর্তীর এই সরকারি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের সময় তার সাথে থাকেন বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক। সাধারণ ভাবেই জেলার ভোটাররা বিভ্রান্ত তাদের ভোটে নির্বাচিত আসল বিধায়ক কে? এই প্রশ্নে আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা সিপিএমের নেতা অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন এটাই এই সরকারের গনতন্ত্র। অন্যদল করা অপরাধ।তার থেকেও বড় অপরাধ অন্যদল থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া।

আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন এই সরকারের কাছ থেকে আর বেশি কি আশা করা যায়। বিরোধী দল করলেই ব্রাত্য করে রাখা হয়। এই দলের ছোট,বড় সকল নেতাই একেকজন স্বঘোষিত জনপ্রতিনিধি।এই দলের বুথ স্তরের নেতারাও সরকারি আমলাদের হুমকি দেয়।

আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন সৌরভ চক্রবর্তী কাজের ছেলে। ও দলের নির্দেশে এই সরকারি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করছে। তার রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মৃদুল বাবুর  অভিযোগ বর্তমান বিধায়কের কাছের লোক  মানুষের থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেবার অভিযোগে এখন হাজতে রয়েছে। তিনি তাকে ছাড়াতেই ব্যস্ত।তিনি ওই সব উন্নয়ন করে বেড়াক।

বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন সংসদীয় গনতন্ত্রের বিচার জনগন করবেন।মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় গিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনও কাজেই আমাদের ডাকে না। মানুষের কাজ কি ভাবে করব।

প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন দলের নির্দেশে আমি সব জায়গায় যাচ্ছি। আমার সময় কালে যে প্রকল্প গুলো অর্ধসমাপ্ত হয়ে আছে। আমি সেই কাজগুলো পরিদর্শন করছি। বিধায়ক না হয়েও আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব।