ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকরমাইকোসিস মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে উত্তরবঙ্গের রিজিওনাল হাব ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের যেকোনো জায়গায়ের মিউকরমাইকোসিস লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা হবে মেডিক্যালে।
চিকিৎসা পদ্ধতি ও এই চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় গাইডলাইন নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শুক্রবার এক সেমিনার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান দের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।
করোনা কালেই উত্তরবঙ্গ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকরমাইকোসিসের আতঙ্ক। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চার জন। এ ছাড়াও মেডিকেলে ১৫ জনের শরীরে মিলেছে এই ছত্রাকের বীজ। তবে এবার এই মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (IPGMR)কে স্টেট হাব করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে রিজিওনাল হাব তৈরি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের যে কোন জেলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। ইতিমধ্যে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ও রোগী কল্যাণ সমিতির সাথে বৈঠকের পর চার বিভাগের প্রধানদের নিয়ে একটি কোরকমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চক্ষু বিভাগের প্রধান মালবিকা দেববর্মা,মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ সরকার।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের লেকচার হলে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এডুকেশন ইউনিটের তরফে। এই সেমিনার থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসার পদ্ধতি ও চিকিৎসা নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়।
এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে গাইডলাইন প্রকাশ হলে সেই মতো চিকিৎসা করা হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, যে পরিমাণ রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমিত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ বেড ও পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে।