খাদ্য এবং গণবণ্টন সম্পর্কিত তথ্য দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ৮১ কোটিরও বেশি মানুষকে এই রেশন ব্যবস্থার সাহায্যে ২ টাকা ও ৩ টাকা কেজি দরে খাদ্য শস্য (চাল, গম এবং অন্যান্য শস্য) সরবরাহ করা হয়।
দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষকে পিডিএসের মাধ্যমে খুব কম মূল্যে খাদ্যশস্য বা রেশন সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই সরকারি রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এর পাশাপাশি সঠিক ও যোগ্য সুবিধাভোগী পরিবারগুলিকে নিয়মিত পরিষেবা দিতে নতুন কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও খাদ্যের বণ্টন সম্পর্কিত নানা অভিযোগ প্রায় প্রতিদিনই পাওয়া যায়।
মাঝে মধ্যেই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যের বণ্টনের ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গ্রাহকদের নির্ধারিত কোটার খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা কারচুপির ঘটনা ঘটে৷ দিনের পর দিন সমস্যায় পড়তে হয় দারিদ্র সীমা নীচে থাকা মানুষদের।
রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে রেশনের খাদ্য দেওয়ার আগে 'পস' মেশিনে গ্রাহককে আঙুলের ছাপ দিয়ে তাঁর আধার নম্বর যাচাই করে নেওয়া হবে। রেশন কার্ডের প্রকৃত গ্রাহকের হাতেই রেশনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাচ্ছে কিনা, তা যাচাই করেই দেখতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মোট তিন ধরণের রেশন কার্ড ইস্যু করা হয়। দারিদ্র্যসীমার উপরে থাকা মানুষের জন্য APL Ration Card, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের জন্য BPL Ration Card এবং এর সঙ্গেই দরিদ্র পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে 'অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড' বা AAY Ration Card ইস্যু করে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারি নিয়মানুসারে, BPL Ration Card এবং AAY Ration Card-এ তুলনামূলক ভাবে বেশি পরিমাণ রেশন পাওয়া যায়। এই বাড়তি রেশন পাওয়ার অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে অনেকে BPL Ration Card বা AAY Ration Card-এ নিজেদের নাম তোলেন।
অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায়, BPL Ration Card এবং AAY Ration Card-এর প্রকৃত গ্রাহকের মৃত্যুর পরেও তাঁর পরিবারের লোকেরা বেশি পরিমাণ রেশন পাওয়ার জন্য ওই সদস্যের কার্ড ব্যবহার করে রেশন তোলেন।