করোনার কারণে দু'বছর বন্ধ স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের ভরসা অনলাইন মাধ্যম। কিন্তু অফলাইনের বিকল্প সম্ভব নয়। এরই মাঝে এবার ফিরতে চলছে পাঠশালার ধাঁচে পঠন-পাঠন।
সোমবার থেকে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে ডাবগ্রাম ২ নম্বর GSFP স্কুলে শুরু হল খোলা মাঠে পাঠশালার ধাঁচে রােজকার পড়াশুনা। ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে উদ্যোগী শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
দীঘদিন পর স্কুলে বন্ধু ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেখতে পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ছাত্র-ছাত্রীদের পেয়ে আপ্লুত।
করোনা মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাত ঘুমানো পর্যন্ত দৈনিন্দন জীবনেও পরিবর্তন এনেছে এই করোনা।
এবার করোনার হাত ধরে রাজ্যে পড়াশোনাতেও ফিরতে চলেছে প্রাচীন পাঠশালার পদ্ধতি। করোনার কারণে দু'বছর ধরে বন্ধ স্কুলের পড়াশোনা, বাড়িতে বসেই অনলাইন মাধ্যমকেই হাতিয়ার করে পড়াশোনা করছে ছাত্রছাত্রীরা।
কিন্তু এবার ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলমুখো করতে রাজ্য সরকারের তরফে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্মুক্ত আকাশের নীচে পঠন পাঠন শুরু করতে চলেছে।
তবে তার আগে দুয়ারে পড়াশোনা কর্মসূচির মাধ্যমে শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে ডাবগ্রাম ২ নং GSFP স্কুলে শুরু হলো পাঠশালার ধাঁচে পঠন পাঠন।
স্কুলের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে বসে পড়াশুনা করান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শুধু এখানেই নয় শিলিগুড়ির আরও বেশ কয়েকটি স্কুলে আজ এই ধরনের পদ্ধতিতে পড়াশোনা হয়।
এদিন এই স্কুলের পঠনপাঠন খতিয়ে দেখলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দিলীপ রায়। এদিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দেবশ্রী অধিকারী বলেন, দু বছর ধরে স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ। তবে দীর্ঘদিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পেয়ে এই ভাবে পাড়াতে পেরে ভালো লাগছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, আমরা চাই স্কুল খোলা হোক। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ হচ্ছে না। অনলাইনে পড়াশোনায় বাচ্চারা তেমন কিছু শিখতে পারছে না। স্কুলে বসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাটা দরকার।