Barasat Bose Barir Masjid: সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ বারাসতে। শহর লাগোয়ো নবপল্লী বয়েজ স্কুল সংলগ্ন মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন বসু পরিবার। আশপাশের অল্প সংখ্যক মুসলিমরা এখানে নমাজ পাঠ করলেও এর পরিচিতি ‘বোস বাড়ির মসজিদ (Barasat Bose Barir Masjid)’ হিসেবেই।
আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদে ভুল করেও নয় এই জিনিসগুলো, দেবীলক্ষ্মী রুষ্ট হতে পারেন
প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই মসজিদ (Barasat Bose Barir Masjid) ৬ দশক ধরে দেখভাল করছেন বসু পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের জমিতেই রয়েছে এই মসজিদ। বসু পরিবারের পক্ষে এখন মসজিদ (Barasat Bose Barir Masjid)-টি মূলত দেখভাল করেন পার্থসারথি বসু ও তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের GDP-র থেকে বেশি সম্পদ রয়েছে এলআইসি-র, আসছে IPO
১৯৬০ সালে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে এই মসজিদ (Barasat Bose Barir Masjid) তাঁরা পান।
আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে
দাদু–ঠাকুমার কথা মেনে সেই থেকে তাঁরা মসজিদের দেখভাল করছেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁরা শিখেছেন প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান করতে।
আরও পড়ুন: প্রথম মহাকাশযাত্রায় নিরাপদ Jeff Bezos? অটোমেটিক লঞ্চে প্রশ্ন!
বারাসতের কাছে নবপল্লীর এই মসজিদের নাম আমানতি মসজিদ। আরবি শব্দ আমানত। এর নামে কারও কাছে কিছু জিনিস গচ্ছিত করে রাখা। সে আমানত রক্ষা করে চলেছেন মধ্যবয়স্ক পার্থসারথি বসু এবং তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: Google Maps-এর এই ফিচার ধরিয়ে দিল ইটালির মাফিয়াকে, বিশ সাল বাদ
তিনি শুধু মসজিদের দেখভাল করেন না, রমযান মাসে প্রায় শ'খানেক রোযাদার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ইফতারেও শামিল হন পার্থসারথি বসু।
তিনি বলেন, আমি হিন্দু হিসাবে গর্বিত যে অন্যদের পাশে থাকতে পারি। অন্যদের কাছে ভরসা লোক হয়ে উঠতে পেরেছি। মানবিকতাই আসল ধর্ম মনে করেন তিনি।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আখতার জানান, বসু পরিবারের সঙ্গে তাঁদের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কোনও দিনই মনে হয়নি তাঁরা একে–অপরে অন্য ধর্মে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, মানবিকতা, ভালবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতি দেশের ঐতিহ্য এবং চিরায়ত ইতিহাস। তা-ই প্রতিদিন প্রস্ফুটিত হয় এখান থেকে।
ইমাম জানান, তিনি ১৯৯২ সাল থেকে এখানে নমাজ পড়ান। বসু পরিবারকে নিজের বলেই মনে করেন। বসু পরিবারও তাই মনে করেন।