অক্ষয় কুমার অভিনীত সেলুলয়েডের "প্যাডম্যান" নয়। এই গল্প লকডাউনে বাস্তবের 'প্যাড উইমেন" দের। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্যের তৈরি করা "সঙ্গী"-র হাত ধরেই এগিয়ে চলেছেন জেলার "প্যাড উইমেন"দের কর্মকাণ্ড। এই লকডাউনে নারীদের পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে, এক ফোনেই বাড়িতে হাজির হয়ে যাবেন একদল "প্যাড উইমেন"।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে লকডাউন অব্যাহত। দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকছে দোকানপাট। সকালে বাড়ির রান্না,ঘরের কাজ, সন্তান দেখাশোনার পর বাজার, দোকান যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বাড়ির মা,মাসি, বোনেদের। ফলে এই লকডাউনে পিরিয়ডের সময় বিপাকে পরতে হচ্ছে গোটা নারী সমাজকে।
পিরিয়ডের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন ঘরের মা,বোনদের এই কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে "প্যাড উইমেন" দের বেশ কয়েকটি দল।জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই "প্যাড উইমেন"দের দল গুলোই এখন নারী সমাজের ত্রাতা। জেলার বেশ কিছু শিক্ষিত নারীরা একত্রিত হয়ে এই কাজ শুরু করেছে।
এরফলে পিরিয়ডের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে বাড়ির নারী সমাজ। এই "প্যাড উইমেন" দের সাথে যোগাযোগ করতে বেশ কয়েকটি হেল্প লাইন চালু করেছে জেলার বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে সুমি মিত্র বলেন আমরা এক ফোনেই মহিলাদের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন মহিলাদের প্রদান করছি।
সুমি মিত্র জানান আমাদের হেল্পলাইন ৯৭৩৩৩২৪২৭১। সুমি মিত্র বলেন বৃহস্পতিবার সারাদিনে ৮০ জন দুস্থ মহিলাকে আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করেছি। আলিপুরদুয়ার মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য মহিলাদের সাহায্য করতে তৈরি করেছেন "সঙ্গী" নামের এক যোগাযোগের মাধ্যেম। এই "সঙ্গী"-র হাত ধরেই এগিয়ে চলেছে মহিলাদের সমস্যা সমাধানের পথ।অপর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে স্বাগতালক্ষ্মী গোস্বামী বলেন মহিলা, শিশুদের এই বিপদে আমরা আছি।মহিলাদের পিরিয়ডের সমস্যায় সব রকমের সাহায্য করা হয় আমাদের সংগঠনের তরফে।
স্বাগতালক্ষী বলেন আমাদের সংগঠনের হেল্পলাইন ৮৬১৭৮২৭৪৮৪। আলিপুরদুয়ার মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য বলেন, আলিপুরদুয়ার পুরসভা এবং মহকুমা প্রশাসন যৌথভাবে "সঙ্গী" নামে একটি যোগাযোগের মাধ্যেম তৈরি করেছি।