ট্রাক চালকের চালাকি ধোপে টিকল না দুঁদে পুলিশ অফিসারের কাছে। ট্রাক চালকের কথার জালে না আটকে পুলিশ সোজা ট্রাকে উঠে তল্লাশি শুরু করতেই থরে থরে বেড়িয়ে এলো বেআইনি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতল। রবিবার গভীর রাতে নাকা চেকিং এর সময় মাদারিহাটের বীরপাড়া থেকে ট্রাক বোঝাই নিষিদ্ধ ওই ফেন্সিডিল কাফ সিরাফ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ওই টিকা থেকে ১৫ হাজার কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ওই কাফ সিরাপের বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। সাম্প্রতিককালে এত টাকার কাফ সিরাপ উদ্ধারের ঘটনা আলিপুরদুয়ারে আর ঘটেনি। পুলিস কাফ সিরাপ বোঝাই লরি চালক বাদল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ারে পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, রবিবার রাতে নাকা চেকিংয়ের সময় তল্লাশি চালিয়ে বীরপাড়া থানার পুলিশ ওই বিপুল টাকার নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ উদ্ধার করেছে। ওই কাফ সিরাফ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত লরি চালকের বাড়ি মালদহের হবিবপুর এলাকায়। কাপ সিরাপ বোঝাই লরিটিও মালদহের বৈষ্ণবপুর থেকে আসছিল। পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল কাপ সিরাফ বোঝাই লড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোন একটি রাজ্যে যাচ্ছি। কিন্তু লড়িটি বীরপাড়া চৌপথিতে থামার পরেও চালক গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করতে চাইছিল না। পরে চাপে পড়ে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করলেও চালক পুলিসকে লড়িতে উঠতে বাধা দেয়। চালক পুলিসকে বোঝায় লড়িতে কসমেটিক দ্রব্য আছে। তখনই পুলিসের সন্দেহ আরও তীব্র হয়।
এরপর পুলিশ ট্রাকে উঠে থরে থরে সাজানো প্যাকেটের মুখ খুলতেই বেরিয়ে আসে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের একের পর এক বোতল। এরপরেই পুলিশ ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের দাবি, কাফ সিরাফ বোঝাই ধৃত লরির চালক বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পুলিশ এই ঘটনায় আন্ত:রাজ্য চক্রের যুক্ত থাকার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। সেই জন্য এই ঘটনায় আন্ত:রাজ্য চক্র যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিস ধৃতের রিমান্ডের জন্য এদিন আদালতের কাছে আবেদন জানায়।এদিন পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তকে দশ দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছে আলিপুরদুয়ার আদালত।