জেলা সিপিএমের সম্মেলনের তোরণ খুলে নালার ধারে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনার পরেই জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএমের নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোই পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছে। সিপিএমের অভিযোগ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যে কাজ করার সাহস দেখাতে পারেনি, সেই কাজ করার সাহস দেখিয়েছে তৃনমূলের দলদাসে পরিনত হওয়া জেলা পুলিশ। সিপিএমের সরাসরি অভিযোগ, জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডের নির্দেশে এই কান্ড ঘটিয়েছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
শুক্রবার প্যারেড গ্রাউন্ড সংলগ্ন একটি বেসরকারি ভবনে জেলা সিপিএমের আলিপুরদুয়ার শহরকেন্দ্রিক দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল।সেই মোতাবেক সিপিএমের তরফ থেকে প্যারেড গ্রাউন্ড রোডে সিপিএমের ফ্ল্যাগ, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ লাগানো হয়।
এদিন দুপুরে সিপিএমের কর্মীরা দেখতে পান হঠাৎ করেই আলিপুরদুয়ার থানার কিছু পুলিশ অফিসার,ও কনস্টেবল সেই তোরণ খুলে নালার ধারে ফেলে দেয়। এরপরেই সম্মেলনে যোগ দিতে আসা সিপিএমের কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এবং সমবেতভাবে জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে শ্লোগান দিতে শুরু করে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে আসেন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। এরপর আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
তবে সিপিএমের কর্মীরা দাবি করেন তাঁদের তোরণ নালার ধার থেকে তুলে যথাস্থানে লাগিয়ে দিয়ে অভিযুক্ত পুলিশদের ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁরা সম্মেলনে স্থগিত রেখে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএমের নেতা তথা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।