গঙ্গা নদীর জল বেড়ে চলেছে। যে কোনও সময় অঘটন ঘটতে পারে। তাই প্রস্তুত থাকতে হবে। ফলে পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন এ কড়া সর্তকতা।
বিভিন্ন এলাকার রেল লাইন ঘেঁষে বইছে নদীর জল। আর একটু বাড়লেই তা ছুঁয়ে ফেলবে রেলের লাইন। ফলে বিপদের আশঙ্কা থাকছেই।
রেল কালভার্টের নীচ দিয়ে প্রচন্ড স্রোতে বইছে নদীর জল। দাঁড়িয়ে দেখলে মনে হবে যে কোনও সময় উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে রেলওয়ে ট্র্যাক।
এই অবস্থায় দূরপাল্লার ট্রেন চালানো অত্যন্ত ঝুঁকির। কারণ নিয়মিত ট্রেন চললে রেললাইন বসে যেতে পারে। এমনিতেই লাইনের নীচে জল জমা থাকায় নরম হয়ে রয়েছে বেস।
ফলে আগাম সতর্কতাবশত বেশ কিছু ট্রেনের রুট ইতিমধ্যেই ঘোরানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৩ টি ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে সতর্কতার কারণে।
মালদা রেলওয়ে ডিভিশন এর ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার জানান, বিহারে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তাই নজর রাখা হচ্ছে।
গঙ্গার জল বাড়ায় সাহেবগঞ্জ থেকে ভাগলপুর, আবার ভাগলপুর থেকে জামালপুর রেল লাইনে ঘেঁষে গিয়েছে। ফলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
পাশাপাশি রেল ব্রিজের গার্ডার ছুঁয়ে গেছে। তাই আমরা বেশ কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করেছি। আরও কিছু ট্রেন যে কোনও মুহূর্তে বাতিল করা হতে পারে।
পাশাপাশি মালদা থেকে ফারাক্কা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র মেল কাটিহার হয়ে দিল্লি যাচ্ছে। উপায় নেই। তাই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।