দেশ-বিদেশ থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে উত্তরবঙ্গের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ছয় দিন ব্যাপী বার্ড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করল অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড টুরিজম (ACT)। সহযোগিতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতর।
১৫ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত শিলিগুড়ির সিটি সেন্টারে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অফ ট্যুরিজম সংগঠনের উদ্যোগে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তবে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন রাজ্য পর্যটন দফতর। সব মিলিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীদের আসা পাখি দেখার টানে উত্তরবঙ্গে ফিরতে পারে পর্যটকরা।
প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গে দেশ-বিদেশের প্রচুর পরিযায়ী পাখির আসে। মূলত সাইবেরিয়া, ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখিরা। তারা বেশ কয়েক মাস উত্তরবঙ্গের থেকে আবার নিজেদের দেশেই ফিরে যায়। এই পাখিদের দেখতে পাখিপ্রেমীরা বরাবরই উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসে।
তাই বসন্ত আসতেই আবারও উত্তরবঙ্গে আনাগোনা শুরু করেছে দেশি-বিদেশি পরিযায়ী পাখিরা। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের ফেরাতে এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছেACT। প্রসঙ্গত গত বছর পাখিদের সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে এই ফেস্টিভ্যালের সূচনা হয়েছিল। তাতেই ভালো সাড়া পেয়ে এবার দ্বিতীয় বর্ষে উৎসবের সূচনা হবে মঙ্গলবার।
জানা গিয়েছে, সমতল থেকে ১২০০ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। এই ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনের পর গজলডোবা হয়ে গরুমারার নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে লাটাগুড়ি, চালসা, মূর্তি সংলগ্ন এলাকা থেকে পাখি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও গরুমারাতেই থাকবে পরিদর্শকের দল। পরদিন লাভা ও সংলগ্ন এলাকায় এই বার্ড ওয়াচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাখি দেখার পাশাপাশি পাখিদের ওপর চিত্রাঙ্কন ও সাহিত্য চর্চাও করা হবে। উদ্যোক্তা, পর্যটকদের সাথে সেখানে উপস্থিত থাকবেন ১২ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দল পাখিদের পর্যবেক্ষণ করবেন। কি প্রজাতির কত পাখি রয়েছে তা নথিভুক্ত করবেন তারা। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অফ ট্যুরিজম সংগঠনের আহবায়ক রাজ বসু বলেন, " করোনার কারণে দু'বছরে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।
তাই পর্যটন শিল্পকে আবার ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এইবার ফেস্টিভাল একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়াও এই ফেষ্টিভেলের মাধ্যমে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যেসমস্ত কর্মীরা থাকেন তাদেরকেও পাখি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোন পাখির কি নাম, কোন প্রজাতি সবটা তাদেরকে জানানো হয়। কিভাবে তারা পাখিদের বিরক্ত না করে পর্যটকদের পাখি দেখা ও চিহ্নিত করবে তা তাদের শেখানো হয়।