বক্সায় পাখি উৎসব শুরুর আগেই বক্সার গর্বের পাখি হর্নবিলের টানে বক্সার জঙ্গলে ছুটে আসছে পক্ষীপ্রেমী পর্যটকদের দল। আচমকাই বক্সার জঙ্গলে অহরহ দেখা মিলছে তিন প্রজাতির হর্নবিল।
এমনকী গভীর জঙ্গলের এই সুন্দরী পাখিটি মাঝে মধ্যে পথ ভুল করে চলে আসছে শহরাঞ্চলের দিকেও। শহরের অনেক পক্ষীপ্রেমীর নজরে পড়েছে কমলা লম্বা ঠোঁটের এই পাখিটির।
পক্ষীপ্রেমীদের মতে করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের পিরিয়ডে জঙ্গলের পরিবেশ অনেকটা ভালো হবার সুবাদেই গভীর জঙ্গলের এই পাখিটির অহরহ দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে বক্সার জঙ্গলে শুরু হবে বার্ষিক পাখি উৎসব। এই উৎসব চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশের পক্ষীপ্রেমীর দল বক্সা টাইগার রিজার্ভের তিনদিনের এই পাখি উৎসবে এসে শামিল হয়। এই পাখি উৎসবে সামিল হয়ে বেশির ভাগ পাখিপ্রেমী পর্যটক তাদের অত্যাধুনিক ক্যামেরায় হর্নবিল পাখির ছবি তাদের ক্যামেরা বন্দী করতে চায়।
কিন্তু এ বছর অহরহ হর্নবিলের দেখা মেলায় হর্নবিল পাখির ছবি তাদের ক্যামেরাবন্দী করতে অসুবিধা হবে না বলে আশাবাদী বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে মূলত পাঁচ প্রজাতির হর্নবিল দেখতে পাওয়া যায়। এই হর্নবিল গুলো হলো, ইন্ডিয়ান পায়েড হর্নবিল, রিথেড হর্নবিল, গ্রেট হর্নবিল,রুপাস হর্নবিল, গ্রে হর্নবিল। স্থানীয়ভাবে এগুলিকে ধনেশ বলা হয়।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলে এই কমবেশি এই পাঁচ প্রজাতির হর্নবিল পাখির দেখা মেলে। তবে বক্সা টাইগার রিজার্ভে সবচেয়ে বেশি ইন্ডিয়ান পায়েড হর্নবিল পাখির দেখা মেলে। ছাড়াও এই জঙ্গলে আকছার দেখা যায় রিথেড এবং গ্রেট হর্নবিল।
আগে এই হর্নবিলের দেখা পেতে পক্ষীপ্রেমী পর্যটকদের যেতে হতো বক্সার দুর্গম পাহাড়ে। এর মধ্যে সদর বাজার, লালবাংলো, তাসিগাঁও, লেপচাখার মতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। এই হর্নবিলের ছবি ক্যামেরা বন্দী করতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো পক্ষীপ্রেমীদের। এই হর্নবিল পাখিগুলোর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বেশি সুন্দর পাখি হলো রিথেড হর্নবিল।