রেলের রাস্তা পরিদর্শনের সময় বিজেপি সাংসদ জন বারলার তিনতলা বাড়ি নির্মানের টাকার উৎস জানতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা।
এই ঘটনায় পৃথক রাজ্য ভাগের দাবিদার আলিপুরদুয়ারের সাংসদ বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে সাংসদের কথা কাটাকাটির পর, সাংসদকে তার দেহরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে আনেন।
আলিপুরদুয়ারে রেলের রাস্তা পরিদর্শনে এসে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছুটা পিছু হাটলেন সাংসদ জন বারলা। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ সাংসদ জন বারলা ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের উপর রেলের রাস্তা পরিদর্শনে যান। সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে সাংসদ কথা বলার সময় আচমকাই আলিপুরদুয়ার টাউনের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি দেবেশ কুন্ডু এবং তাঁর অনুগামীরা সাংসদকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
তাঁরা সাংসদকে প্রশ্ন করেন, সাংসদ তহবিলের টাকা কোথায়? মালবাজার ব্লকের চামুর্চি রোডে ২৪ টি ঘর বিশিষ্ট আপনার তিনতলার প্রাসাদ নির্মানের টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন।
বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা সাংসদকে বলেন, আপনার দলের প্রাক্তন সভাপতি আপনার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, আপনার এই প্রাসাদোপম বাড়ি বানানোর টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন?
এরপরই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সাংসদের বচসা শুরু হয়। সাংসদ বিক্ষোভকারীদের পরিচয় জানতে চান। সাংসদ তাঁদের বলেন. আমি এখনও চা বাগানের কোয়ার্টারে থাকি। আমার দশজন দেহরক্ষী আছে। তাদের কোথায় রাখবো? তাদের থাকার জন্যই ওই বাড়িটি ৷
বিক্ষোভকারী তৃণমূল শ্রমিক নেতা দেবেশ কুন্ডু বলেন, এলাকায় উন্নয়ন করা দূরের কথা। সাংসদ এলাকাতেও একদিনও আসেননি।
তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা কোথায় ? আপনি যে বাড়িটি বানিয়েছেন, তাঁর টাকার উৎস কোথায়? কিন্তু তিনি কোনও উত্তর না দিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন।
যদিও এদিন সাংসদ তাঁর দেহরক্ষীদের সাথে নিয়ে আলিপুরদুয়ারের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিকে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। সেই রাস্তা ও ঘুরে দেখেন সাংসদ জন বারলা।