হাসপাতালে ভর্তির কারণে ভয়াবহ ব্যয় থেকে মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে সবার জন্য ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প’ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল বড় চমক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে এই প্রকল্প চালু হয়। যাতে পরিবারপিছু মিলবে ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস চিকিৎসার সুযোগ।
এবার স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে ময়দানে নামলেন মালদহের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহা। তিনি নিজেও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড তৈরী করেছেন। এমনকি পরিবারের সকলকে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড তৈরী করে দিয়েছেন। সমাজের আর পাঁচটা মানুষ যাতে সাস্থ্য সাথী নিয়ে সচেতন হন, আত্মীয় পরিজনেরাও যেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরী করেন, তারজন্য মেয়ে শ্রুতি সাহার অন্নপ্রাশনের মেনু কার্ড স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আদলে তৈরী করলেন দীপঙ্করবাবু।
তাঁর এমন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন আমন্ত্রিত সকলেই। অনেকে তো খাবারের মেনু কার্ড হাতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়ছেন। কারণ একেবারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুকরণে তৈরী খাবারের মেনু কার্ড।
রাজ্য সরকারের লোগো থেকে কার্ডের নম্বর সমস্ত কিছুই রয়েছে সেই মেনু কার্ডে। রয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দফতরের নামও। মাঝে শুধু রয়েছে দীপঙ্কর সাহার ছয় মাসের কন্যা সন্তানের ছবি। কার্ডের পেছনে রয়েছে অনুষ্ঠানের খাবারের মেনুও।
কার্ড হাতে পেয়ে আমন্ত্রিত সকলেই ভাল করে দেখে নিচ্ছিল কার্ডের এপিঠ ওপিঠ। মেনু কার্ড নাকি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তা বুঝতে কিছু সময় লেগেছে সকলের। তবে এভাবে স্বাস্থ সাথী নিয়ে সচেতনতা নজর কেড়েছে প্রত্যেকের।
স্বাস্থ্যই সম্বল। তাই বাংলার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারের নব উদ্যোগ স্বাস্থ্য সাথী। প্রতিটি মানুষকে জরুরিকালীন পরিষেবা প্রদান করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে সচেতন করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে সমস্ত প্রচার মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গিয়েছে মালদা শহরের এই সাহা পরিবার।