scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

পড়ুয়া আছে শিক্ষক নেই গ্রামে, সবাইকে শহরে পাঠানো হচ্ছে, আলিপুরদুয়ারে চাঞ্চল্য

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 1/10

অর্থের বিনিময়, স্বজনপোষণ ও দলীয় প্রভাবের জেরে গ্রামীণ স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা তুলে এনে জেলা সদরে বদলি করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে।
 

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 2/10

জেলা সদর এবং শহর সংলগ্ন প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ছাত্র সংখ্যা তলানিতে ঠেকলেও শিক্ষকের ছড়াছড়ি। অথচ গ্রামীণ স্কুল গুলোতে প্রচুর ছাত্র থাকলেও এক শিক্ষকেই চলছে স্কুল।

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 3/10

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে স্বজনপোষণ এবং আর্থিক অনিয়ম ও শাসক দলের নেতা ঘনিষ্ঠদের মর্জি মাফিক স্কুলে বদলি করা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শহরের স্কুল গুলি শিক্ষকদের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে অন্য দিকে এক শিক্ষক বিশিষ্ট প্রাইমারী স্কুল গুলো লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে।

Advertisement
গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 4/10

রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গাইড লাইন অনুযায়ী ৩০ জন ছাত্র প্রতি একজন করে প্রাইমারী শিক্ষক থাকার কথা। সেখানে শহরকেন্দ্রিক এবং শহর সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ৩০-৩৫ জন ছাত্র প্রতি ৫-৭ জন করে শিক্ষক রয়েছেন।পাশাপাশি এর ঠিক বিপরীত চিত্র গ্রাম, চা বাগান, বনবস্তির প্রাইমারী স্কুল গুলোতে। সেখানে আবার ৬০-৭০ জন ছাত্র প্রতি মাত্র একজন শিক্ষক দিনভর অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 5/10

আলিপুরদুয়ার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের লিষ্ট দেখলেই এই তথ্য জলের মতো সহজ হয়ে যাবে। নিয়ম ৩০ জন পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক। অথচ একটি স্কুলে পড়ুয়া ১৭৩। শিক্ষক ৮ জন।  আর একটি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৮।  শিক্ষক ৫ জন। আর একটি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪। শিক্ষক ৩ জন। আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার তুলনায় বাড়তি শিক্ষকের এই মুখোশ খুলে যাবার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে জেলা প্রাথমিক  শিক্ষা মহলের অন্দরে। 

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 6/10

আলিপুরদুয়ার জেলায় ৮৪১টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে।সমস্ত স্কুল মিলিয়ে  শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ৩ হাজারের থেকে বেশি।আলিপুরদুয়ার  জেলা সদর ও সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৩৫টির।  অভিযোগ, উঠেছে শহর এলাকার ৩৫টি স্কুলের মধ্যে সিংহভাগ স্কুলেই বাড়তি শিক্ষক রয়েছে। আর এই বাড়তি শিক্ষকরাই দলের ও লক্ষীর কৃপায় বাড়তি সুযোগ নিয়েছে।

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 7/10

বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছেলে,বৌ, বোন, ভাই কেউ বাদ নেই এই তালিকা থেকে।এছাড়াও রয়েছে মা লক্ষীর কৃপায় নিজের বাড়ির পাশে  পছন্দের স্কুলে বদলি হবার জ্যাকপট বাম্পার অফার। শিক্ষা দপ্তরের এই বেনজির ঘটনার জেরে  জেলার গ্রামাঞ্চল,চা বাগান,বনবস্তি এলাকার বহু প্রাথমিক স্কুল সিঙ্গল শিক্ষক স্কুলে পরিণত হয়েছে বলে অভিভাবক মহলে অভিযোগ উঠেছে। এই সিঙ্গল শিক্ষকের জন্য মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকছে গ্রামের স্কুলগুলো। গ্রামাঞ্চলের দিকে অভিভাবকরা এভাবে শিক্ষক বদলির ঘটনায় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংসদের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ।

Advertisement
গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 8/10

গ্রামাঞ্চলের সিঙ্গল শিক্ষক বিশিষ্ঠ কয়েকটি স্কুলের অভিভাবকরা সম্প্রতি এনিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষুব্ধ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এই ঘটনার তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশবাবু বলেন, আলিপুরদুয়ারে প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি হয়েছে জানি। কিন্তু এভাবে গ্রামঞ্চলের স্কুল থেকে তুলে এনে শহরের স্কুলগুলিতে বাড়তি শিক্ষক দেওয়া হয়েছে বলে শুনিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই ঘটনার অবশ্যই বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 9/10

বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের রাজ্য সম্পাদক অসীম দাস জানিয়েছেন , শাসক দল তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন শিক্ষকদের বাড়ির পাশে ও শহরে সুবিধা পাইয়ে দিতেই শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতে এভাবে শিক্ষক দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলার নেতারা।

 

গ্রাম থেকে শহরে শিক্ষক তুলে আনায় বিতর্ক
  • 10/10

নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সহ সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, আমরা এনিয়ে ডিপিএসসিতে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়ে কোন লাভ হয়নি।ডিপিএসসি এখন স্বজন পোষণে ঘঘুর বাসায় পরিনত হয়েছে।
তবে বিরোধী দলের এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন  জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন গার্গী নার্জনারী। তিনি এর দায় ঝেড়ে বলেছেন বিষয়টি নিয়ে অযথা হইচই হচ্ছে। আমি মাত্র একবছর হলো শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হয়েছি।আমার আমলে এই সব হয়নি।

Advertisement