
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলা থেকে অসমে গেল সেনাবাহিনীর মশাল। ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে সেনাবাহিনীর তরফে মশাল যাত্রা করা হচ্ছে।

২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মশালটি জ্বালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এদিন ওই মশাল নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অসম-বাংলা সীমানা হয়ে অসমে প্রবেশ করেছে।

সোমবার সকাল থেকেই বাংলার শেষ সীমান্ত বারোবিশার ৩১ সি জাতীয় সড়ক কার্যত ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলে চলে যায়।

সেনা বাহিনীর তরফে গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। সকাল থেকেই সাজ সাজ রব পড়ে যায় অসম-বাংলা সীমানায়।

অসম-বাংলা সীমানার সংকোশ নদীর সেতু সহ গোটা সোনালী চতুর্ভুজ রাস্তায় সেনা বাহিনীর টহল জারি থাকে।

বারোবিশা সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে সেনাবাহিনীর সাথে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের টহলদারি চলে।

পাকিস্তান যুদ্ধ জয়ের স্মারক মশালটির জন্য ৩১ সি জাতীয় সড়ক পুলিশের তরফে সিল করে দেওয়া হয়। যদিও সোনালী চতুর্ভুজের ফোর লেনের এই রাস্তাটি অসমের দিক থেকে আসা গাড়ি গুলোর জন্য খোলা রাখা হয়েছিল।

দুপুরের দিকে সড়ক পথে সংকোশ সেতুতে এসে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর পাকিস্তান যুদ্ধ জয়ের এই মশাল। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই মশালটি এদিন জাতীয় সড়ক ধরে নিয়ে আসা হয়।

এদিন সংকোশ সড়ক সেতুতে মশালটি তুলে দেওয়া হয় অসমের সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের হাতে। এরপর পাকরিগুড়ি হয়ে মশালটি অসমের দিকে যায়। এই উপলক্ষে এদিন অসম-বাংলা সীমানার সংকোশ সড়ক সেতু ও পাকরিগুড়িতে সেনাবাহিনীর তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন এই মশালটি অসমের কোকড়াঝাড় জেলা হয়ে প্রথমে অসমের তুরাতে পৌঁছাবে। পরে সেখান থেকে এই মশালটি গৌহাটি নিয়ে যাওয়া হবে।সেখান থেকে সেনা বাহিনীর নির্দেশে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।