বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঢেলে ভোট দানের শাস্তি পোহাতে হচ্ছে হাজার দেড়েক গ্রামবাসীকে। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
বিধায়ক বলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজ্যের শাসকদল আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের বঞ্চুকামারি, চাঁপাতলি সংযোগ স্থলে চাঁপাতলি নদীর উপর সেতুর কাজ নির্মান শুরু করলেও বিধানসভা নির্বাচনের গণনার পর সেই কাজ থমকে যায়।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অভিযোগ ১ নম্বর ব্লকের ১২/১১০ এবং ১২/১১৮ বুথে বিজেপি বিরাট লিড পায়। আর সে কারনেই এই এলাকার মানুষকে শায়েস্তা করতে সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এই সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যাবার কারনে বিপাকে পড়েছে এলাকার হাজার দেড়েক জনসাধারণ।
বিধায়কের আরও অভিযোগ, একে নির্বাচনে দুই বুথে তৃনমুলের পিছিয়ে পড়া অন্যদিকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সেতুর ঠিকাদারের থেকে কাটমানি নিয়ে ভাগবাটোয়ারার গন্ডগোলের জেরে সেতুর কাজ বন্ধ। সোমবার দুপুরে চাঁপাতলি নদীর উপর সেতুর কাজ দেখতে যান বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তখনই চাঁপাতলির জনসাধারণ বিধায়কের কাছে সেতু নিয়ে নালিশ করেন।
বিধায়ক বলেন সেতুটি নির্মানের জন্য ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমি এই সেতুর কাজ নিয়ে প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।
আমি দ্রুত এই সেতুর বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের সাথে দেখা করে অভিযোগ জানাবো।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু ঘোষ, সঞ্জয় দাস বলেন আগে একবার এই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিলো। ছয় মাসের মধ্যেই সেটি অজানা কারনে ভেঙ্গে যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের এই ব্রিজটির কাজ শুরু হয়।কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন মিটে যেতেই সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন কোন দল বেশি ভোট পেল কে কম ভোট পেল তাতে আমাদের কি? আমরা সাধারণ নাগরিক। আমাদের পরিষেবা দরকার।আমরা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন আমাদের পাশের গ্রামে যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে এই সেতুর কাজ শুরু করুক জেলা প্রশাসন। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন কম ভোট, বেশি ভোট নয়।কাটমানির কোন বিষয় নেই।