scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

বন্ধ চা বাগানের মহিলাদের রুজি ফেরাচ্ছে ওয়াশেবল স্যানিটারি ন্যাপকিন

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 1/15

বন্ধ চা বাগানে মহিলাদের সচেতনতার পাশাপাশি আয়ের পথ দেখাচ্ছে ওয়াশেবল স্যানিটারি ন্যাপকিন। বাড়িতে বসে এই ন্যাপকিন তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে দুঃস্থ চা বাগান পরিবারগুলি।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 2/15

ইতিমধ্যে ৭০০ স্যানিটারি ন্যাপকিনের অর্ডার পেয়ে খুশি মহিলারা। তবে বন্ধ চা-বাগানে মহিলাদের এই আয়ের পথকে সুগম করেছে খড়্গপুরের গবেষক দম্পতি অনির্বান নন্দী ও তার স্ত্রী পৌলমী চাকি (নন্দী)।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 3/15

এর ফলে নতুন করে আয়ের পথ দেখছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বেশ কিছু চা-বাগানের মহিলারা। লকডাউনের কারণে প্রচুর মানুষ আজ কর্মহীন।

Advertisement
ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 4/15

বিশেষ করে চা বাগান এলাকাগুলিতে বসবাসকারী দুঃস্থ চা শ্রমিকদের পরিবারগুলো চরম কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছে। তাই তাদের দু বেলা দুমুঠো অন্নের যোগান দিতে লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে এই দম্পতি ।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 5/15

এই যাত্রাপথের শুরুটা হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে ২০১৭ সালে । এই গবেষক দম্পতি চা-বাগান নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 6/15

গবেষণা করতে গিয়েই উঠে এসেছিল চা-বাগানের মহিলারা তখন স্যানিটারি ন্যাপকিন কথার অর্থ যে কি, চা-বাগানের মহিলারা জানেনই না। এরপর এই গবেষক দম্পতি ঠিক করেন যে গবেষণার পাশাপাশি চা বাগানের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার নিয়ে সচেতন করবেন।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 7/15

তাই সেই সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যঙ্ক নামে স্যানিটারি ন্যাপকিনের একটি ব্যাংক তৈরি করে শুরু হয় মহিলাদের সচেতন করা। প্রথমে দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ির ব্লকের গঙ্গারাম চা-বাগান থেকে শুরু হয় এই সচেতনতা।

Advertisement
ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 8/15

এরপর আস্তে আস্তে তা ১৬ টি চা-বাগান ও ৩০ টি গ্রামে কাজ শুরু করন এই দম্পতি। ইতিমধ্যে ১৪২০০-এর মতো স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করেন এই গবেষক দম্পতি।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 9/15

এরপরই তারা চিন্তা করে শুধু সচেতনতাই নয় চা বাগানে বসবাসকারী মহিলাদের এই স্যানিটারী ন্যাপকিন নতুন করে রোজগারের পথ দেখাতে পারে। সেই বিষয়টি নিয়ে তারা প্রথমে বিভিন্ন চা-বাগান ও বাগানের পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাথে কথা বলেন।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 10/15

শুরু হয় ওই গ্রামে কত জন মহিলা রয়েছে সেই তথ্য নথিভুক্ত করার কাজ। এরপর ২০২০ সালে এই দম্পতি  লিভ লাইফ হ্যাপিলি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ও কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অনাহুতের সহযোগিতায়  "ঘরের লক্ষী" নামক কার্যক্রমের উদ্দ্যোগ নেন।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 11/15

এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় গ্রামের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে স্বনির্ভর করার কাজ। প্রথম দিকে গ্রামের যে সমস্ত মহিলারা সেলাই জানে তাদের দিয়ে শুরু হয় স্যানিটারি প্যাড তৈরি করার কাজ।

Advertisement
ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 12/15

আপাতত গঙ্গারাম ও মেরি ভিউ নামে দুটি চা বাগানের প্রায় ৫০ জন মহিলা এই কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে এই স্যানিটারি প্যাড বানানোর সামগ্রী গুজরাট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই মহিলাদের কাছে পৌঁছে দেন কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অনাহুত।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 13/15

এই সামগ্রীগুলি দিয়েই ঘরে বসেই চা বাগান ও চা বাগানের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মহিলারা প্যাড তৈরি করেন। এরপর গবেষকরা ওই দম্পতি তাদের থেকে তৈরি ন্যাপকিন গুলিকে কিনে অন্যান্য বাগানের মহিলাদের বিতরণ করছে। প্রতি প্যাকেটের গুণগত মানকে মাথায় রেখে  দাম ধার্য করা হয়েছে ১০, ১৫  ও ২০ টাকা।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 14/15

তবে এক্ষেত্রে জানা গিয়েছে এই সানিটারি ন্যাপকিন একবার ক্রয় করলে বেশ কয়েক মাস ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এটি ধোয়া যায়। ফলে দুস্থ পরিবার মহিলারা এই প্যাকেট একবার কিনলে বেশ কয়েক মাস চালাতে পারবে।

ওয়াশেবল ন্যাপকিন হাতে মহিলা
  • 15/15

এ বিষয়ে লিভ লাইফ হ্যাপি অর্গানাইজেশনের কর্ণধর অনির্বাণ নন্দী বলেন, এই সমাজসেবামূলক কাজে আমাকে সাহায্য করেছে আমার স্ত্রী পৌলমী চাকি নন্দী। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ওই গ্রামের এক মহিলা আইলিন মিঞ্জ বলেন, বাগান বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছিল তবে এই কাজ করে একদিকে যেমন গ্রামের মহিলাদের সচেতন করা যাচ্ছে তেমনি আর্থিক দিক থেকেও স্বনির্ভর হতে পারছি।

Advertisement